প্রতিনিধি ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ১১:২১:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক॥ বরিশালে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী কোয়ার্টার থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত অন্তরা পানুয়া আইএইচটির ডেন্টাল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। তিনি পটুয়াখালী সদর উপজেলার খলিসাখালী গ্রামের বাসিন্দা অনুকূল চন্দ্র পানুয়ার মেয়ে এবং সিলেটের বানিয়াচং সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের আউটসোর্সিং কর্মচারী তাপস হালদারের স্ত্রী। তিনি ওই কোয়ার্টারের একটি রুমে ভাড়া থাকতেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল বারী জানান, অন্তরার পাশের একটি রুমে থাকতেন তার সহপাঠী সুমাইয়া। সকালে ঘুম থেকে উঠে অন্তরার কক্ষের দরজা বন্ধ পান তিনি। জানালা দিয়ে অন্তরাকে ফ্যানের হুকের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস নেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক ধারণা আত্মহত্যা। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকৃত কারণ বলতে পারব।’
আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. মানসকৃষ্ণ কুন্ডু বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থী যাদের বিয়ে হয়েছে তারা অনেকেই বাইরে থাকেন। অন্তরাও হোস্টেলে না থেকে বাইরে থাকতেন। তবে সে কোথায় থাকত আমরা জানতাম না। সকালে তার আত্মহত্যার খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই। মৃত্যুর কারণও আমি বলতে পারব না।’
তাপস হালদার বলেন, ‘অন্তরার পড়াশোনার খরচ নিয়ে পরিবারের সঙ্গে একটু মনোমালিন্য রয়েছে। এ নিয়ে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাস দেখে ধারণা করছি আত্মহত্যা করেছে।’