প্রতিনিধি ১৭ মার্চ ২০২০ , ২:৪১:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক ॥ নছিমন করিমন ও ভটভটি নাম তিনটি ভোলার মানুষের কাছে বড় আতঙ্কের বিষয়। কারণ এরা কোন মানুষের নাম নয়, সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষিত প্রধান সড়কের তিনটি যান। কিন্তু নিষিদ্ধ হওয়া সত্বেও এ জেলার প্রধান সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়ানো যানগুলো মানুষের সহজ চলাচলে হয়ে উঠেছে বিষফোঁড়া। অবৈধভাবে চলাচল করা নছিমন করিমন ও ভটভটির বেপরোয়া দাপটে তীব্র ভোগান্তি আর আতঙ্কে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, নছিমন করিমন ও ভটভটি নামের গাড়ি তিনটি উপজেলার প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে গ্রামের আনাচে কানাচে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মালামাল, ইট, বালু, গবাদিপশু কিংবা মানুষ বোঝাই করে হরহামেশাই দাপিয়ে চলছে এসব এলাকায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব গাড়ির চালকদের বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়ই ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা। তাদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে সাধারণ যানবাহনের যাত্রীরাও। স্থানীয় প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিনদিন মহাসড়কে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এসব নিষিদ্ধ যানবাহন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নছিমন চালক জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দিষ্ট পরিমান মাসোহারা দিয়েই চলছে তাদের নছিমন ও করিমন। ফলে তাদের গাড়ি চালানো চলছে অবাধে।
ইসমাইল হোসেন নামে এক চালক জানান, রাস্তায় থাকা ট্রাফিক সদস্যদের কিছু টাকা দিলেই অবাধে মহাসড়কে চালানো যায় সেসব যানবাহন
ভোলা সদর মডেল থানার ট্রাফিক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একে এম রহমান, মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ অবৈধ। এখনো আমাদের কাছে ১৪৭টির মতো নছিমন করিমন আটক রয়েছে। গতকাল কোর্টে ৩টি নছিমন পাঠানো হয়েছে। আমরা অপেক্ষায় আছি কোর্ট কোন সিদ্ধান্ত নেয় তার জন্য। কোর্টের সিদ্ধান্তের পরেই এসব নিষিদ্ধ যানবাহনের উপর আমাদের আরো হস্তক্ষেপ বাড়বে বলে আশাকরি।
নছিমন করিমন ও ভটভটি অবাধে চলার সত্যতা স্বীকার করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিতেন্দ্র নাথ। তিনি বলেছেন, উপজেলার প্রধান সড়ক গুলোতে ওইসব নিষিদ্ধ ঘোষিত যানবাহনের চলাচল বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অতি দ্রুত সেসব যানবাহনের উপর কঠোর হস্তক্ষেপ গ্রহন করা হবে।