Uncategorized

মহামারীতে ইবাদত,রমজান ও ঈদ পালন

  প্রতিনিধি ৬ মে ২০২০ , ১:৪৩:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ মাসুদ আলম॥
বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ সারাবিশ্বের চিত্রকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস আজ সারাবিশ্বে দাপটে বেড়াচ্ছে।আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়তেছে,তেমনি মৃত্যুর মিছিল ও দীর্ঘ হচ্ছে।মানুষদেরকে এই ভাইরাস থেকে সচেতনতার জন্য হিমশিম খাচ্ছে সরকার প্রধানরা।বাংলাদেশে এই কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সূচনা হয় ৮মার্চ থেকে।আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে,সাথে মৃত্যুর সংখ্যাও।সারাদেশ লকডাউন করা হয়েছিল,সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে,যানবাহন বন্ধ করা হয়েছে,তবুও থামানো যাচ্ছে না এই রোগের আক্রান্তের সংখ্যা।মুসলমানদের উপাসনালয় মসজিদে গনজমায়েত নিষেধ করা হয়েছে।মুসলমানদের পবিত্র  মাস মাহে রমজান চলতেছে।রমজান মাসে মুসলমানদের মাঝে অন্য রকম একটা আমেজ বিরাজ করে।তারাবির নামাজ,রোজা রাখা,ইফতারের আয়োজন করা সহ আরো কতো কি।কিন্তু এবার এই কোভিড-১৯ এর কারনে মনে হচ্ছে সবকিছুই থমকে গেছে।সকল নামাজ ঘরের মধ্যেই আদায় করার জন্য বলছে।যেখানে রমজানে সারাদেশে মসজিদে হাফেজদের দ্বারা তারাবির আয়োজন হয়,এবার সেখানে ক্ষুদ্র পরিসরে তারাবি আদায় করতেছে।ঘরের মধ্যেই আদায় করতে হচ্ছে তারাবি নামাজ।রমজানে যেখানে ইফতারের আয়োজনে বিভিন্ন খাবারের আয়োজন থাকে,সেখানে আজ বাহিরের খাবার খেতেই নিষেধ করা হচ্ছে। পুরান ঢাকার ইফতার যেখানে ঝমঝমাট চলতো,সেখানে এবার পুরান ঢাকায় ইফতারের আয়োজনই নাই।এ যেনো এক অন্য পরিবেশ।রমজানে মার্কেট গুলো থাকে লোকে লোকারণ্য,কিন্তু এবার সেখানে মার্কেট গুলোই বন্ধ, যদিও শর্তসাপেক্ষ এখন খোলার অনুমতি দিচ্ছে।কিন্তু যেই আয়োজন এবার আর লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।লকডাউন,হোমকোয়ারেন্টাইন এর কারনে বাসাবাড়িতেই অবস্থান করতেছেন যারা ঢাকা ছেড়ে গ্রামে গিয়েছিলেন।আয়ের পথ একেবারেই রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।তাই ইদের আমেজ এবার চোখে পড়ার মতো আয়োজন করার সামর্থ্যও হয়তো অনেকে হারিয়ে ফেলতেছে।ইদের আনন্দ এবার মনে হচ্ছে ঘরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।কেননা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলতেছে যে, মে মাস বাংলাদেশের জন্য খারাপ সময় হবে।তাই বলাই যায় এবার ইদের আমেজ আগের মতো হবে না।সমস্যা সবসময় থাকবে না,সমস্যা কাটিয়ে আশার আলো দেখবে বাংলাদেশ খুব শীঘ্রই এটাই সবার প্রত্যাশা।এই মহামারী থেকে পরিত্রানের জন্য পালনকর্তার কাছে প্রার্থনা করতে হবে।সকলকে এই কোভিড-১৯ থেকে বেঁচে থাকার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে।তবেই হয়তো এই মহামারী থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব হবে।নিজে ভালো থাকি,পরিবারকে ভালো রাখি।

আরও খবর

Sponsered content