প্রতিনিধি ২৩ জুলাই ২০১৯ , ২:০১:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে এখনো অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল। এই কারেন্ট জাল দিয়ে মাছের পোনা নির্বিচারে ধ্বংস করছে এক শ্রেনীর অর্থলোভী অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা। পোনা মাছ ধরার বিরুদ্ধে টিভিসহ সংবাদপত্রে প্রচারনা চালিয়ে সরকার যে অর্থ ব্যয় করছে তাতে অরণ্যেরোদন ছাড়া আর কিছু নয়। অবৈধভাবে কারেন্ট জালে ধরা পড়ছে ছোট ছোট সকল প্রকার মাছ। ফলে জাল ব্যবসায়ীদের ব্যবসা চলছে রমরমা। প্রকাশ্যে দিবালকে কারেন্ট জাল বিক্রয় হওয়ার পরও মৎস্য অধিদপ্তর গুলো রয়েছে নিশ্চুপ। তারা কোনা পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না। ঝিনাইদহ সহ কালীগঞ্জ শহরে মাছ বাজারের পাশে একাধিক দোকানে কারেন্টে জাল বিক্রি করছে। কিন্তু‘ কোন প্রতিকার বা ধর পাকড় নেই। বিশেষ করে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ফ্রি স্টাইলে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ কারেন্ট জাল। সরকার ৪ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার বা তদুপেক্ষা কম ব্যাস দৈর্ঘ্যে ও ফাঁস জালের (কারেন্ট জাল) নিষিদ্ধ ঘোষনা করলেও তা কোনো কাজে আসছে না। নিয়ম অনুযায়ী এ আইন অমান্য কারীকে ৫০০ টাকা জরিমানা বা ৬ মাসের জেল অথবা উভয় দন্ডে-দন্ডিত করার ঘোষণা রয়েছে, এ সকল আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এক শ্রেনীর অসাধু মৎস্য শিকারিরা অবাধে কারেন্ট জাল ব্যবহার করে শিকার করছে পোনা মাছ। এই ধারা অব্যাহত থাকলে বিলুপ্ত হয়ে যাবে কালীগঞ্জ উপজেলার মিঠা পানির মাছ। ২০ জুন কালীগঞ্জ উপজেলায় মৎস্য বিষয়ক আইন বাস্তবায়নের লক্ষে অবৈধ কারেন্ট জাল রাখায় এক ব্যবসায়ীকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানাকৃত ওই ব্যবসায়ীর নাম উজির আলী। দুপুরে শহরের পুরাতন হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ কেজি অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন জানান, মৎস্য বিষয়ক আইন বাস্তবায়নের জন্য শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় উজির আলী নামের এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ১০ কেজি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এক ব্যাক্তির দোকানে অভিজান চালালে কারেন্ট জাল নিধোন হবে না। একাধিক দোকানে রয়েছে কারেন্ট জাল। কালীগঞ্জ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা সাইদুর রহমান রেজা বিষয়টি আমলে নিলে কারেন্ট জাল বিক্রি বন্ধ হবে।