Uncategorized

ইন্দুরকানী এসএস আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতি !

  প্রতিনিধি ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ , ৭:১৬:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ইন্দুরকানীতে সম্পূর্ণভাবে জালিয়াতি করে এক শিক্ষকের স্থানে অপর এক শিক্ষককে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। উপজেলার এস. ইন্দুরকানী এসএস আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৮ অক্টোবর উপজেলার গাবগাছিয়া গ্রামের মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের মেয়ে মাহামুদা খানমকে এস ইন্দুরকানী এসএস আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে নিয়োগ দেয়া হয়।

নিয়োগের পর তিনি নিয়মিত স্কুলে আসতেন ও ছাত্রীদের পাঠদান করাতেন। ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বরে এমপিওভুক্তির জন্য মাহামুদার যাবতীয় কাগজপত্রাদি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেন।

পরে কৌশলে বিভিন্ন পন্থায় মাহমুদাকে বাদ দিয়ে মাহামুদার পরিবর্তে একই তারিখ একই পদে একই স্মারকের নিয়োগ দেখিয়ে মহোর আলীর তথ্যাদি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে এমপিওভুক্ত করা হয়।

মো. মহোর আলী মৃধা নাজিরপুর উপজেলার আবদুল জলিল মৃধার ছেলে। এমনকি জালিয়াতির মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক মহোর আলীর নিয়োগের কাগজপত্র অগ্রায়ণের জন্য ২০১৯ সালের ২০ মে ইন্দুরকানী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর একেএম আবুল খায়ের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে প্রেরণ করেন।

ভুক্তভোগী মাহামুদা খানম জানান, আমার কাগজপত্র জালিয়াতি করে অন্য এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তার নিয়োগ বাতিল করে আমাকে এমপিওভুক্ত করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

২০০৪ সালের বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আসাদুল কবির স্বপন জানান, আমার সময়ে মাহামুদাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

মো. মহোর আলী মৃধা নামের কাউকে আমরা নিয়োগ দেই নাই। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার বলেন আমি মাহমুদাকে চিনি না এবং প্রতিষ্ঠানে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ জানান, আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে আমি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।

আরও খবর

Sponsered content