Uncategorized

বরিশাল চরকাউয়া খেয়াঘাটের সেই পাগলিকে দেখতে শের-ই বাংলা মেডিকেলে ওসি নুরুল ইসলাম পিপিএম

  প্রতিনিধি ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ , ১:২৩:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

????????????????????????????????????

বরিশাল নগরীর চরকাউয়া খেয়াঘাটে এক পাগলির বাচ্চা হয়েছে সংবাদটি শুনে তাৎক্ষনিক ভাবে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছুটে যান বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম পিপিএম।

এসময় তিনি বাচ্চা ও পাগলি মায়ের চিকিৎসার খোজ খবর নেন। তিনি বাচ্চা ও মায়ের সার্বাধিক চিকিৎসা সেবা দিতে শেবাচিম কর্তৃপক্ষ ও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সংশ্লীষ্টদের সাথে কথা বলেন। তিনি বাচ্চা ও তার মায়ের চিকিৎসায় সেবায় একজন মহিলা পুলিশ নিযুক্ত করেন।

উল্লেখ্য যে,  বুধবার সন্ধ্যার পরে তার জন্ম। বরিশাল চরকাউয়াি খেয়াঘাটে যাত্রী ছাউনিতে শিশুটি জন্ম নিয়েছে, তাও মাফুজা নামে এক পাগলির গর্ভে।

সন্ধ্যার পরে সন্তানসম্ভবা এক পাগলি মায়ের প্রসববেদনার চিৎকার ভারি করে তুলছিল খেয়াঘাট এলাকা। এমন একটি জনবহুল জায়গায় চিৎকারের শব্দ শুনে গন্তব্য করে ছুটে গিয়েছিলেন কিছু মহৎ তরুণ ও নারী।

বুধবার সন্ধ্যায় বরিশাল চরকাউয়া খেয়াঘাটে যাত্রী ছাউনিতে মাফুজা (১৯) নামের একজন মানসিক প্রতিবন্ধী এক ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন।

স্থানীয়দের মতে, মাফুজা প্রায় মাস খানেক যাবত ধরে মানসিক অসুস্থ অবস্থায় খেয়াঘাট এলাকায় ঘোরাঘুরি করতেন। প্রসববেদনায় মাফুজার চিৎকার শুনে স্থানীয় কিছু নারী, যুবক এগিয়ে আসলে সেখানেই তার প্রসব হয়, এখন মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন।

ওখানে উপস্থিত এক সংবাদকর্মী জানান, ‘হুট করে এমন একটি পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় উপস্থিত সকলে। প্রথমে সবাই কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়েন। মুহূর্তেই তারা সামলে নিয়ে এদিক-ওদিক ফোন দিয়ে জেনে নেন কী করতে হবে। শিশুটির নাড়ি তখনো কাটা হয়নি। কয়েক নারীকে ডেকে আনলেও কেউ শিশুটির নাড়ি কাটতে রাজি হচ্ছিলেন না। তাদের মধ্যে এক নারী সাহস করে শিশুটির নাড়ি কাটেন।

এদিকে স্থানীয়রা মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর কাছে শিশুটির নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। অবশ্য সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে শিশুটির ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা ও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দত্তক প্রদানের দাবি জানিয়েয়েন তারা।

আরও খবর

Sponsered content