প্রতিনিধি ১৫ এপ্রিল ২০২১ , ৫:৩০:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
কলাপাড়া প্রতিনিধি ।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আট বছরের শিশু কন্যাকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মোঃ হুমায়ুনকে (২৪) কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী। বুধবার সন্ধ্যায় মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মেলাপাড়া গ্রামের এ শিশু ধর্ষনের ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ভিকটিম শিশুকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে।
কলাপাড়া থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ওই শিশু কন্যাকে জাপটে ধরে বেড়িবাঁধের বাইরের জঙ্গলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে হুমায়ুন। শিশুটির ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্তকে আটক করে।
অপরদিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ দিয়ে ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের সুখডুগি গ্রামের বিধবা নিঃসন্তান গৃহবধূ সাদিয়া বেগম চরম বিপাকে পড়েছেন। প্রভাবশালী সিদ্দিক মৃধা গংদের আতঙ্কে এখন তার বাড়িঘর ছাড়ার উপক্রম হয়েছে। সাদিয়া বর্তমানে মায়ের বাড়িতে থাকছেন। এক বছর আগে স্বামী খুন হওয়ার পর থেকে নিকট আত্মীয় প্রতিবেশী সিদ্দিক মৃধা উত্যক্ত করে আসছিল। এমনকি বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। কোন কিছুতেই রাজি না হওয়ায় প্রকাশ্যে ইজ্জতহানির হুমকি দেয়া হয়।
সোমবার ঘরের বেড়া ছুটিয়ে সিদ্দিক ঘুমন্ত সাদিয়াকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ডাক চিৎকারে গ্রামের লোকজন এগিয়ে আসলে সিদ্দিক সটকে পড়ে। পরেরদিন বিষয়টি প্রথমে স্থানীয় মেম্বারকে অবহিত করেন। বিকালে মহিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সিদ্দিক কিংবা তাঁর মদদদাতা কেউ আটক না হওয়ায় উল্টো অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছে। বর্তমানে সাদিয়া নিরাপত্তাহীনভাবে দ্বারে দ্বারে প্রতিকারের আশায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট এলাকার সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার নাজমা বেগম জানান, দীর্ঘদিন এই মহিলাকে সিদ্দিক গং উত্যক্ত করে আসছিল। বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন জানান, এখন অসহায় বিধবা এ নারীর আইনি সহায়তা প্রয়োজন। বিষয়টি এলাকার সকল মানুষ জানেন বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। মহিপুর থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।