Uncategorized

মুলাদীতে ১৩ বছরের নুরজাহানকে হত্যার অভিযোগ, ঘটনা আড়াল করতে বেল্লালের দৌড়ঝাঁপ!

  প্রতিনিধি ১৪ জুলাই ২০২০ , ৪:৫৩:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

{"effects_tried":0,"photos_added":0,"origin":"gallery","total_effects_actions":0,"remix_data":["add_photo_directory"],"tools_used":{"tilt_shift":0,"resize":0,"adjust":0,"curves":0,"motion":0,"perspective":0,"clone":0,"crop":0,"enhance":0,"selection":0,"free_crop":0,"flip_rotate":0,"shape_crop":0,"stretch":0},"total_draw_actions":0,"total_editor_actions":{"border":0,"frame":0,"mask":0,"lensflare":0,"clipart":0,"text":0,"square_fit":0,"shape_mask":0,"callout":0},"source_sid":"06336ABB-AD1D-4C78-9624-9E7364B13AE9_1571667740086","total_editor_time":1047,"total_draw_time":0,"effects_applied":0,"uid":"06336ABB-AD1D-4C78-9624-9E7364B13AE9_1571667740062","total_effects_time":0,"brushes_used":0,"height":828,"layers_used":0,"width":1242,"subsource":"done_button"}

মুলাদী প্রতিনিধিঃ
মুলাদী সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দড়িচর লক্ষীপুর গ্রামের নূরজাহান (১৩) নামের এক কিশোরীকে হত্যার অভিযোগ করেছে পরিবারবর্গ। আর এমন অভিযোগের তীর রয়েছে স্থানীয় বেল্লাল সরদার ও তার পরিবারেরর সদস্যদের উপর। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় গত ৬ এপ্রিল একই গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলাম এর কন্যা নুরজাহান (১৩) কে একই এলাকার বেল্লাল সরদারের বাড়ীতে কাজের জন্য দেয়। প্রায় ৪ মাস পর তার পিতা নজরুল ইসলাম মেয়ের সংবাদ চাইলে বেল্লাল সরদার এর স্ত্রী জেসমিন আক্তার বলে মেয়ে হারিয়ে গেছে। এসময় নজরুল ইসলাম তার মেয়ের জন্য খোজঁ নিতে আসলে সে জানতে পারে যে তার মেয়ে হত্যা করে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে মেয়ের সন্ধানের জন্য ঐ এলাকায় দ্বারে দ্বারে ঘুরেও নজরুল ইসলাম গরীব বলে কেউ তাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি। এদিকে এ বিষয়ে
মুলাদী উপজেলা সকল সাংবাদিক সংগঠনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন মেয়ের বাবা। যার পরিপেক্ষিতে ১৪ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় দৈনিক আজকের তালাশের অনুসন্ধানী টিম উপস্থিত হয় দড়িচর লক্ষীপুর গ্রামে বেল্লাল সরদারের বাড়ীতে। এসময় বেল্লাল সরদার স্ত্রী জেসমিন আক্তার আজকের তালাশের প্রতিনিধিদের বলেন গত ৬ এপ্রিল নুরজাহান মারা গেছে, তখন করোনা সময় করোনার কারণেই নুরজাহানের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর আমি, আমার স্বামী ও রহিমা বেগম ৩জন মিলে জানাযা করে মাটি দেই। অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে নূরজাহানের কবরের কাছে গেলে দেখা যায় করুন অবস্থা। একটি ঘরের কোনের মধ্যে নুরজাহানকে চাপা মাটি দেওয়া হয়েছে। এদিকে জানা যায়, গত ১৩ জুলাই রাতে কাঠের পুল নামক স্থানে বেল্লাল সরদার কয়েকজন লোক নিয়ে কাজিরচর ইউনিয়নের খাসের হাট বাজারের মৃত আঃ গফুর পালোয়ানের পুত্র রিয়াজ পালোয়ান নুরজাহান হত্যার কথা মানুষের কাছে বলায় মারমুখী অবস্থান নিয়ে তার পথরোধ করে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে বেল্লাল সরদার ও লোকজন পালিয়ে যায় বলে আজকের তালাশকে জানান রিয়াজ পালোয়ান। মুলাদী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মোহাম্মদ খন্দকারকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকী দিয়েছে বেল্লাল সরদার বলে জানান গ্রাম পুলিশ।
​বেল্লাল সরদারের স্ত্রী জেসমিন আক্তার আজকের তালাশকে বলেন নুরজাহান এর মৃত্যুর আধা ঘন্টা পরে আমি, আমার স্বামী বেল্লাল সরদার রহিমা তিনজন মিলে জানাযা করে তাকে মাটি দেই। করোনার কারণে আমরা কাউকে বলিনি কেউ জানতে পারলে লক ডাউন হবে আমাদের বাড়ী ভয়ে।
কয়েক বার বেল্লাল সরদারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে বেল্লাল সরদার মোবাইল রিসিভ না করে তার স্ত্রী জেসমিনকে দিয়ে কথা বলান। এ বিষয়ে মুলাদী সার্কেল এ এস পি মোঃ আনিসুল করিম আজকের তালাশকে জানান আমরা অভিযোগ পেয়ে আদালতে পাঠিয়েছি, আদালত আমাদের নির্দেশ দিলে আমরা কবর থেকে লাশ উঠিয়ে ময়না তদন্ত শেষে বলতে পারবো যে নুরজাহান করোনায় মৃত্যুবরন করেছে না হত্যা করা হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content