প্রতিনিধি ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ , ৫:১৪:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি,
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের সুখডুগী গ্রামের বাসিন্দা চান ভানুর ভাগ্যে বয়স্কভাতা জোটেনি। একশত বছর পার করেছেন অনেক আগেই। এখন আর শ্বাস চলে না, বেঁচে আছেন উর্ধশাস নিয়ে। তার পরিবারের দাবি চান ভানুর বয়স ১৩৬ বছর। শরীরের চামড়া শুধু কুঁচকে নয়, ঝুলে গেছে। হাড্ডিসার শরীর। চরম দারিদ্র্য চেপে আছে পরিবারে। এ বয়সেও বিধবা চান ভানুর ভাগ্যে জোটেনি বয়স্ক ভাতা। তাহলে গ্রামের কারা এ ভাতা পাচ্ছেন এমন প্রশ্ন এখন এ সকলের মাথায় ঘুরপাক পাচ্ছে। কোন মতে হাত ধরে ছেলে বউ, নাতি-নাতনি বিছানা থেকে তুলে এনে উঠোনে বসায় অশীতিপর বৃদ্ধা এ মানুষটিকে। জীবনের অনেক গল্প ছিল। গল্পের ছলেই জীবনের ঘটনা বলেছেন সংসারের সকলের কাছে। এখনও উ”চ স্বরে বললে সম্বিৎ ফিরে পান এ বৃদ্ধা মানুষটি। তিন ছেলে, তিন মেয়েসহ নাতি-নাতনি ও তাদের সন্তান নিয়ে বর্তমানে এদের সংখ্যা ৮৮ জন। জানালেন চার পয়সা সের দরে চাল কিনে খেয়েছেন। এখনও কোন মতে এক বেলা এক মুঠো ভাত খান। এক যুগ ধরে বিছানায় পড়েছেন। চরম অভাবের সংসারে শ্রমজীবী ছেলে আইয়ুব আলী কাজী আর ছেলে বউ রওশন আরা বেগম পরিচর্যা করেন। ছেলের বয়সও ৮০ হয়েছে। তারপরও মাটিকাটা থেকে যে কাজ পায় তাই করছেন। এই ভরসা সংসারের। বৃদ্ধা এ মানুষটি স্বামী আশন আলীকে হারিয়েছেন আরও ৩০ বছর আগে। বৃদ্ধা চান ভানুর ভাগ্যে বয়স্কভাতা যেন অসম বণ্টনের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.আ. ছালাম শিকদার জানান, চান ভানুর জন্ম নিবন্ধন কাগজ ও জাতীয় পরিচয়পত্র নেই যার কারনে তাকে বয়স্কভাতা দেয়া হয়না। জন্ম নিবন্ধন কাগজ ও জাতীয় পরিচয়পত্র করলে তাকে বয়স্কভাতা দেয়া হবে।