প্রতিনিধি ১ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ১২:৪৭:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ ডেস্ক ॥ জয়ের জন্য বাংলাদেশের চাই মাত্র ৬১ রান। এই রান তাড়া করতে নেমেও বেশ নড়বড়ে ছিল স্বাগতিকরা। দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে ফেলে মাত্র ৭ রানে। লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম দলকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি। তারপরও মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিমের জুটিতে ভর করে ৫ ওভার হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় টাইগাররা। এ জয়ের ফলে ৫ ম্যাচ সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
এর আগে মন্থর উইকেটের সুবিধা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক বোলারদের সামনে কিউইদের শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। দলীয় ৯ রানের মাথায় চার উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। দ্রুত উইকেট হারানোর ধাক্কা নিয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি নিউজিল্যান্ড।
মিরপুর শেরবাংলা স্টেডিয়াম টস জিতে আগে ব্যাট করে নেমে ১৬.৫ ওভারে ৬০ রান সংগ্রহ করেছে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন ল্যাথাম।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের সর্বনিন্ম স্কোর এটি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৪ সালেও প্রথমবার ৬০ রানে অলআউট হয়েছিল কিউইরা। এবার আরেকবার পেল সর্বনিন্ম রানের লজ্জা।
বল হাতে বাংলাদেশকে শুরুতে সাফল্য এনে দেওয়া মেহেদী হাসান এক উইকেট নিয়ে দিয়েছেন ১৫ রান। এ ছাড়া সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান, নাসুম ও সাইফউদ্দিন।
এদিন টস জিতে বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। আগে ব্যাটিংয়ে নামার সুবিধা খুব একটা কাজে লাগাতে পারল না নিউজিল্যান্ড। প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় কিউইরা।
মেহেদীর বলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকে গোল্ডেন ডাকে বিদায় নিলেন রাচিন রবীন্দ্র। বাংলাদেশি স্পিনারের বল রবীন্দ্র লেগ সাইডে খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় বোলারের কাছে। বোলার মেহেদী সুযোগ হাতছাড়া করেননি। লুফে নেন ক্যাচ। রবীন্দ্র ফেরেন শূন্য রানে, দলীয় এক রানে প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।
বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম ওভারে উইকেট পান সাকিব আল হাসানও। তৃতীয় ওভারে সাকিবের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল কাট করার চেষ্টা করেন উইল ইয়ং। কিন্তু বল তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে আঘাত করে স্টাম্পে। দলীয় ৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড, ইয়ং ফেরেন ৫ রানে।
এরপর চতুর্থ ওভারে নিউজিল্যান্ডকে জোড়া ধাক্কা দেন নাসুম আহমেদ। প্রথমে বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন ওপেনার টম ব্লান্ডেলকে। এরপর নাসুম আহমেদের বলে উড়িয়ে সুইপ করতে গিয়ে উইকেট হারান ডি গ্র্যান্ডহোম। স্কয়ার লেগ সীমানায় নাঈমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গ্র্যান্ডহোম।
৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপাকেই পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। হেনরি নিকোলসকে নিয়ে সেই বিপদ কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক টম ল্যাথাম। কিছুটা সময় টিকেও ছিলেন দুজন। কিন্তু থিতু হয়েও দায়িত্ব নিতে পারলেন না ল্যাথাম। নিজের প্রথম ওভারেই কিউই অধিনায়কের প্রতিরোধ ভাঙেন সাইফউদ্দিন। ২৫ বলে ১৮ করে ফেরেন ল্যাথাম।
অধিনায়ক ফেরার পর শুধু হতাশাই দেখিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ল্যাথাম ফেরার পরের ওভারেই সাকিব তুলে নেন কিউইদের ষষ্ঠ উইকেট। এরপর নিজের পরের স্পেলে সাইফউদ্দিন ফেরান জমে যাওয়া নিকোলসকে। মুস্তাফিজের শিকার বানান অ্যাজাজ প্যাটেল। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ১৬.৫ ওভারে ৬০ রানে থেমে যায় টম ল্যাথামের দল।