হিজলা প্রতিবেদক: বরিশালের হিজলা উপজেলার বাউশিয়া ও বাহেরচর এলাকায় সারে ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে জিওব্যাগের মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছে মেঘনা নদী ভাঙ্গন রক্ষা বাধ। গত পনের দিন পূর্বে অমল সিং নেত্রকোনা নামক একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পাঁচশত মিটার ভাঙ্গন রক্ষা বাধের বিপরিতে সারে তিন কোটি টাকার কাজ শুরু করে। শুরুতেই স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিন্মমানের ব্যাগ ও মাটি মিশ্রিত লোকাল বালু দিয়ে জিওব্যাগ প্রস্তুত করে। এছাড়াও প্রতি ব্যাগে দুই শত সত্তর কেজি বালু থাকার কথা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ঝন্টু হাওলাদার সহ একাধিক ব্যক্তি জানায় কোন ব্যগেই ২ শত থেকে ২ শত ২০ কেজির অধিক বালু নেই। তারা আরো জানায় বালু ডাম্পিং এর আগেই অনেক বস্তা ছিড়ে যায়।
স্থানীয় সবুজ জানায় এখানে ব্যপক দূনীতি হচ্ছে, যেমন নিন্মমানের ব্যাগ, মাটি মিশ্রিত লোকাল বালু ও ওজনে কম দেওয়া হয়।
বড়জালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন হাওলাদার আজকের তালাশকে জানায় কোন রকম তদারকি ছাড়াই জিওব্যাগে ডাম্পিং করছে, যে ভাবে মাটি মিশ্রন বালু দিয়ে জিওব্যাগ ডাম্পিং এর কাজ করছে তা স্থায়িত্ব হওয়ার সম্ভাপনা নেই। তিনি আরো বলেন হিজলা উপজেলা কয়েকটি গ্রাম নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য বাউসিয়া, লক্ষিপুর বাহের চর, পুরাতন হিজলা সহ বেশ কিছু এলাকা। এখানে এই মুহুর্তে প্রয়োজন সিসি বোলক দিয়ে রক্ষা বাধ নির্মান করা।ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজ করে লুৎফর রহমান বলেন এখানে ৬০ হাজার জিওব্যাগ ডাম্পিং করা হবে। প্রতি বস্তায় বালু থাকবে ২৬০ কেজি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বকুল চন্দ্র কবিরাজ এর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন কতটুকু কাজ, ব্যগে বালুর পরিমান কত, কিছুই আমার জানা নেই। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আমি পানী উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলব।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ঢালী আজকের তালাশকে জানায়, জিওব্যাগ ডাম্পিং এর ব্যপারে আমার কিছু জানানেই। তবে হিজলা উপজেলা এখন দিন দিনই ছোট হয়ে আসছে। উপজেলা পরিষদ থেকে মাত্র ২শত মিটার দূরে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন কুল, যা এখন হুমকির মুখে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন ভবন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীয় কাছে জোর দাবী এখানে স্থায়ী বাধ নির্মান করে হিজলা উপজেলা বাসীকে রক্ষা করা।
বরিশাল পানী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দিপক রঞ্জন দাস বলেন, কাজে যদি কোন অনিয়ম থাকে হয়ে থাকে আমরা তা ক্ষতিয়ে দেখব।