প্রতিনিধি ১১ মার্চ ২০২৩ , ১:২৭:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক॥ বরিশাল হোম ইকনোমিক্স কলেজের নারী শিক্ষিকা মর্জিনা আক্তারের উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায় বরিশাল নগরীর সদর রোডস্ত সিটি কলেজে মর্জিনা আক্তারের উপর নির্মম নির্যাতন প্রতিকারে সম্মিলিত শিক্ষক, পেশাজীবী, সাংস্কৃতিক ও মহিলা পরিষদ সমন্বয় কমিটি বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহিলা পরিষদ বরিশাল জেলার আহ্বায়ক পুস্প চক্রবর্তী, সনাক সভাপতি শাহ সাজেদা, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির বরিশাল শাখার যুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ আ.ক.ম মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির বরিশাল শাখার যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুল হক, কলেজ শিক্ষক সমিতি (কামরুজ্জামান) বরিশাল জেলার সাধারন সম্পাদক সফিউল আজম, বাকশিস বরিশাল বিভাগীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মহসিন উল ইসলাম হাবুল, গন নাট্য সংস্থা সভাপতি শাহ আজিজুর রহমান খোকন, বাকশিস যুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান খোকন, শিক্ষক সমিতি (ফেডারেশন) যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম, বরিশাল সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন সাধারন সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলুসহ সাংবাদিক ও শিক্ষক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দরা সাংবাদিকদের বলেন আমরা এই নির্যাতনের প্রতিবাদে ইতোমধ্যে অনেক কর্মসূচি গ্রহন করেছি, আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের সাত দিনের মধ্যে যদি কার্যকর কোন পদক্ষেপ বা গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি না দেওয়া হয় তাহলে আমারা বৃহৎ আকারে আন্দোলন করব। এমকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মঘটও করতে পারি।
উল্লেখ্য, বরিশাল হোম ইকোনোমিক্স কলেজের প্রভাষক মর্জিনাকে কলেজ চলাকালীন সময় কলেজে ঢুকে থাপ্পড় মারার ঘটনাটি সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কথা-কাটাকাটি এক পর্যায়ে অভিযুক্ত হাসনাইন চৌধুরী শিক্ষিকাকে মারধর ও লাঞ্চিত করে।
এ ঘটনা বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় (মামলা নং ৩০/২৩ এযারপোর্ট) মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রভাষক মর্জিনা আক্তারের সাথে একই কলেজে শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক বিষয়ক শিক্ষিকা নিশাত অাফ্রিন টুম্পা চাকুরি করে। টুম্পার সাথে ব্যাক্তিগত পারিবারিক ও পেশাগত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষ জানতে পারলে গত ১ ফেব্রুয়ারী টুম্পাকে শোকজ পত্র দেয়। ২ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১২:৩০ এর দিকে বরিশাল গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিক্ষক কক্ষের মধ্যে এসে টুম্পা মর্জিনাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এক পর্যায় টুম্পার স্বামী মোঃ হাসনাইন চৌধুরীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কলেজের মধ্যে ডাকে। দুপুর আনুমানিক ১:৩০ এর দিকে হাসনাইন চৌধুরীর সাথে ৬/৭ টি মটর সাইকেলে বেআইনী জনতাবদ্ধে একাত্রিত হয়ে শিক্ষক কক্ষের মধ্যে ঢুকে প্রভাষক মর্জিনাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও এক পর্যায়ে এলোপাথাড়ি চর থাপ্পর মারে এবং ধাক্কা মেরে মেঝেতে ফেলে দেয়।