প্রতিনিধি ২ এপ্রিল ২০২৩ , ৫:৩৮:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবে ১’লা এপ্রিল বিকেল ৩ টার সময় লাউকাঠী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড তেলীখালী গ্রামের বাসিন্দা কামাল হাওলাদার ও তার মা জাহানারা বেগম সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয় , হত্যা মামলায় আগাম জামিন নিয়ে প্রধান আসামি ইসহাক মৃধা ও তার ভাই ইউসুফ মৃধা, দুই ছেলে ইব্রাহিম মৃধা, জাকির মৃধা, মামলার বাদী জাহানারা বেগম ও তার পরিবারের সবাইকে রাতের আঁধারে ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এছাড়াও মামলা তুলে না নিলে নিহত রশিদ হাওলাদার এর ছেলে কামাল হাওলাদার ও তার ভাইকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ, গত ১২’মার্চ লাউকাঠী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড তেলিখালী গ্রামে সালামের জবাব দেয়াকে কেন্দ্র করে ইসহাক মৃধা নিহত আব্দুল রশিদ হাওলাদার কে নাকে ঘুষি মারলে প্রচন্ড আঘাত লাগে এতে রক্তক্ষরন হয়। পরে মাটিতে লুটিয়ে পরে এসময় ইসহাক মৃধার ভাই ইউসুফ মৃধা ও তার দুই ছেলে ইব্রাহিম মৃধা, জাকির মৃধা ও মারধর করেন। এতে রশিদ হাওলাদারের নাকে প্রচন্ড আঘাতে রক্তক্ষরন এবং বুকে ও কোমরে গুরত্বর আঘাত লাগে। ভুক্তভোগী পরিবার জানান, মারধরের পরে আহত রশিদ হাওলাদার কে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে দেয়নি আসামি ও তার লোকজন। নিহত রশিদ হাওলাদার এর ছেলে কামাল হাওলাদার বলেন, আমরা দুই ভাই ঢাকায় একটি দোকানে চাকরি করি বাড়িতে মা ও বাবা দুজনে থাকেন ঘটনার সময় ঢাকা থাকার কারনে আসল সত্যি ঘটনা তাৎক্ষণিক জানতে পারিনি। ঘটনার একদিন পরে বাবা গুরত্বর অসুস্থ জেনে চাচাকে হসপিটাল নিয়ে বলি কিন্তুু তিনি হসপিটাল নিতে চাইলে আসামিরা তাকেও হুমকি ধামকি দেয়। পরেরদিন অবস্থা আরও বেশি গুরুত্বর হওয়ায় মা ও চাচা বাবাকে পটুয়াখালী এনে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে দেখালে ডাক্তার দ্রুত রোগীকে হসপিটাল ভর্তি করতে বলেন। কিন্তুু আসামিরা ভর্তি না করার জন্য হুমকি ধামকি দেয়। এরপর তাকে পটুয়াখালী হসপিটালে ভর্তি করা হলে ১৬ মার্চ কর্মরত ডাক্তার ঢাকায় চিকিৎসার জন্য রেফার করেন। ১৭ মার্চ বাবাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং পথ মধ্যে বাবার নিঃস্বাস বন্ধ দেখে সামনে হৃদরোগ ইন্সটিটিউট হাসপাতালে নিয়ে যাই সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবাকে মৃত বলে জানান। বাবা বাড়ি নিয়ে আসলে থানায় মামলা করতে যাওয়ার পথে চেয়ারম্যান আমাদের ডেকে সিদ্ধান্ত জানতে চান এবং আসামি ইসহাক মৃধকে তিনি পালিয়ে যেতে বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাদী জাহানারা বেগম বলেন, মারধরের কারনে আমার স্বামী অসুস্থ হয়। তাকে সঠিক সময়ে চিকিৎসা দিতে হসপিটালে নিতে দেয়নি ইসহাক মৃধা ও তার দুই ছেলে ও ভাই ইউসুফ। যদি তারা হুমকি ধামকি না দিতো তাহলে হসপিটাল নিয়ে যেতে পারতাম। তাদের হুমকিতে কেউ আমাদের সহযোগিতা করেনি। যার কারনে আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। তাই আমি বিচারের জন্য থানায় মামলা করেছি। বর্তমানে আসামি আগাম জামিন নিয়ে এলাকায় এসে তার লোকজন দিয়ে আমাকে ও আমার ছেলেদের আগুনে পুড়িয়ে মারার হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা এখন কোন দিক পাচ্ছি না নিরাপত্তাহীনতায় জীবন কাটাচ্ছি। তাই আসামি ইসহাক মৃধার ও তার ভাই ইউসুফ মৃধা দুই ছেলে ইব্রাহিম ও জাকির মৃধার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে ঘটনার পরে পটুয়াখালী সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিলো, আব্দুল রশিদ হাওলাদার এর মৃত্যুর পরে অভিযোগ অনুযায়ী ইসহাক মৃধার নামে মামলা রুজু করা হয়, যাহার মামলা নং-১৪/১৮ ইং, যাহা ৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩০২ প্যানেল কোড ধারায় রুজু করা হয়েছে। কিন্তুু মামলার আসামি আগাম জামিন নিয়ে এলাকায় এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।