প্রতিনিধি ১৪ মে ২০২৩ , ৭:৪৩:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ
তুফান মাহাম্মুদঃ বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে নানা মুখি সমস্যায় পড়েছেন নৌকার মাঝি আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মানতে নারাজ বরিশালের অধিকাংশ নেতাকর্মী। আওয়ামীলীগের আদর্শকে বুকে ধারন করা নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে অধিকাংশ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বসানো হয়েছিলো বিভিন্ন পদে। এর প্রতিফলন হচ্ছে নির্বাচনের আগেই। এমনি অভিযোগ মুল ধারার নেতাকর্মীদের।
এর জলন্ত প্রমান নৌকা প্রার্থীর চার সমর্থকের উপর হামলা। এর আগে গত ৭ মে বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর নৌকা প্রতীকের পক্ষে মিছিল করায় মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়কের নেতৃত্বে দুই কর্মীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগের কর্মী মো. সোহাগ কাউনিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডিতে মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক রইস আহম্মেদ মান্না ও তার ভাইসহ ১৭ জনের নামসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১৫ জনের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকির অভিযোগ করা হয়।
এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের রেস কাটতে না কাটতেই নতুন ঘটনার জন্ম দিলো মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক রইস আহম্মেদ মান্না। জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় নগরীর কাউনিয়া মহাশ্মশান এলাকায় নৌকা প্রার্থীর চার সমর্থকের উপর হামলা করেন মান্না ও তার দলবল। এ সময় আহত হন মনা আহম্মেদ, আব্দুল হালিম, মো. জাহিদ ও সুজন।
আহত মনার ছেলে ইরফান আজকের তালাশকে বলেন, সন্ধ্যায় কাউনিয়া মহাশ্মশান এলাকায় নৌকার পক্ষে প্রচারে যান তার বাবাসহ ৬/৭ জন। এ সময় মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক মান্নার নেতৃত্বে অর্ধশত ‘ক্যাডার’ তাদের উপর হামলা করে। তারা রড দিয়ে পিটিয়ে বাবার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। অপর তিনজনকে রড দিয়ে বেধরক পিটিয়েছে। বর্তমানে এরা সবাই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা করা হবে।
এ বিষয়ে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা জানান, বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক রইজ আহাম্মেদ মান্নাকে ঘিরে বরিশালের বর্তমান সব সন্ত্রাসীরা। চাঁদাবাজ, দখলবাজ, সন্ত্রাসী ও বিবাহিত এই ছেলেকে দিয়ে মহানগর কমিটি গ্রহনযোগ্য নয়। তাকে পদ থেকে বহিষ্কার করে পুলিশে সোপর্দ করা উচিৎ।
নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে দায়িত্বে থাকা লস্কর নুরুল হক বলেন, “ঘটনা শুনেছি। এ ঘটনায় অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “ঘটনা ঘটেছে। এখনও নির্বাচনী কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। যারাই জড়িত থাকুক না কেন কঠোর হস্তে দমন করা হবে। আমি সেই নির্দেশনা দিয়েছি।”
মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক রইজ আহম্মেদ মান্না হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। গত পাঁচ দিন ধরে তিনি সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত রয়েছেন। ঘটনার সময়ের সিসি ক্যামেরা দেখলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।