প্রতিনিধি ৫ আগস্ট ২০২৩ , ১২:৫৩:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
বালু ভর্তি ট্রাক চলাচলের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডস্থ চরআবদানির বেলতলা বাজারের পোল থেকে খেয়াঘাট পর্যন্ত ব্যস্ত সড়কটি। রাস্তার দুই পাশের ভবন মালিকরা পানি নিষ্কাশনের জায়গা না রাখায় পানি জমে সড়কটির কার্পেটিং উঠে গেছে। বর্তমানে বেলতলা খেয়াঘাট থেকে পশ্চিম দিকে বেলতলা বাজার ও দক্ষিন দিকে কাজির গোরস্থান পর্যন্ত সড়কের দৃশ্য ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে- রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। অনেক জায়গায় দু’ধারের রাস্তাগুলো ভেঙে পড়েছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলো ডুবে কাঁদা সৃষ্টি হয়। যার ফলে এ রাস্তাটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে উঠেছে।
অটোচালক মোশারফ বেলাল। অটো চালিয়েই চলে তার সংসার। রাস্তা নিয়ে তার অভিযোগ- কত রাস্তা ঠিক হচ্ছে, কিন্তু বেলতলার এ রাস্তাটি ঠিক হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে মনে হয় আমরা এ দেশের জনগণ না। তিনি আরও বলেন, ভাঙা রাস্তার কারণে অটো বেশিরভাগ সময়ই টেনে নিতে হয়।
মাহবুব, ওসমান, ওমর মিয়াসহ চরমোনাইর বাসিন্দারা জানায়, আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা হলো এটি। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। অনেক বছর পূর্বে রোডস এন্ড হাইওয়ে এ রাস্তাটি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাস্তাটি আর সংস্কার হয়নি। দুঃখের বিষয় গত তিন বছর ধরে রাস্তার বিভিন্ন অংশের কার্পেটিংয়ের পাথর, বালু সরে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পরেছে। এমনকি রিক্সাওয়ালারাও আসতে চায় না। আরো দেখা গেছে, সেখানে সারি সারি বালুর গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। ছোট পিকআপ ভ্যান ও ট্রাকে করে বিভিন্ন বালুর খলা থেকে নেয়া হচ্ছে বালু। এসব গাড়ীর জন্য রাস্তাটির এমন বেহাল দশা দেখা দিয়েছে।
এক বালু ব্যবসায়ী বলেন, এই খলা থেকে শহরের সব জায়গায় বালুর গাড়ি যায়। এখানে প্রচুর বালু উঠানো হয়। বালু বহনকারী ট্রাকের কারণে সড়কের ক্ষতি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, রোডস এন্ড হাইওয়ে মাঝে মধ্যে সড়কটি সংস্কার করলে দুর্ভোগ কমে আসবে। সহজে রাস্তাও আর নষ্ট হবে না।
ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন পথচারী মাহতাব হোসেন। তিনি একজন ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, খানা-খন্দতে পরিণত হওয়া সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। রাস্তায় পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সাধারন মানুষ এই পথে যাতায়াত করতে পারে না। দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি আমাদের সবার।
এ বিষয়ে জানতে রোডস এন্ড হাইওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি।