সকল বিভাগ

আমতলীতে মাত্রা অতিরিক্ত ট্রলি ও ট্রাক্টরের চাকায় নষ্ট হচ্ছে সড়ক- বাড়ছে ভোগান্তি

  প্রতিনিধি ১৪ মার্চ ২০২৩ , ৫:০৬:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

আমতলী ( বরগুনায় ) প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলীতে বিভিন্ন শহর ও আঞ্চলিক সড়ক গুলোতে বেপরোয়াভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ট্রলি ও ট্রাক্টর। যার ফলশ্রুতিতে নষ্ট হচ্ছে শহর ও গ্রামীণ সড়কগুলো। পাশাপাশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ছোট যান চলাচল ও সাধারণ মানুষ, প্রশাসনে হস্তক্ষেপ কামনা সুশীল সমাজের।

আমতলিতে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করছে ট্রলি ও ট্রাক্টর ।
মাটি বহনকারী ট্রলি ও ট্রাক্টরের যন্ত্রনা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ । অনুমোদন, সিগনাল লাইট ও হর্ন ছাড়া চলাফেরা করতে এসব যান। এছাড়া অধিকাংশ গাড়ির চালকের আসনে আসনে বসেছে অদক্ষ ও কিশোরেরা । ফলে প্রতিনিয়ত শহরকে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ।

রাস্তায় যানজট কালো ধোয়া ও শব্দ দূষণ নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ । এছাড়া এসব যানবাহনের কারণে গ্রাম গঞ্জের কাঁচা পাকা রাস্তা গুলো নষ্টের উপক্রমায় । ট্র্যাক্টর শুধু চাষাবাদের জন্য বৈধ থাকলেও এসব গাড়ি দিয়ে ইটভাটার মাটি ও অন্যান্য সামগ্রী বহনে ব্যবহৃত হয় । স্বল্প খরচে ভারী কাজ করানোর জন্য মাটি উত্তোলন কাজে এসব যান ব্যবহার করেন । তবে প্রশাসন বলছে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরজমিনী গিয়ে দেখা যায়, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী, কুকুয়া, চাওড়া, হলদিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, আঠারোগগাছিয়া, আমতলী সদর ইউনিয়নে হর হামেশা রাস্তায় চলাচল করছে । নিষিদ্ধ টুলি ওর ট্রাক্টর এর মাধ্যমে ইট মাটি গাছসহ বিভিন্ন পণ্য অতিরিক্ত বোঝাই করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । অনেক ট্রাক্টরের মালিক চাষাবাদের পর ট্রাক্টরের অতিরিক্ত বডি লাগিয়ে পণ্য বোঝায় ও খালাস করছে । ফলে গ্রামীণ রাস্তাগুলো গর্তে পরিণত হয়েছে, যা বর্ষাকালে ভোগান্তির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে দাবি সুশীল সমাজের । পাশাপাশি পরিবহনে অনুমোদিত গাড়িগুলো লোকসানে পড়ছে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স না করার কারণে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব ।

সচেতন মহলের দাবি এসব নিষিদ্ধ গাড়ি নিয়ন্ত্রণ আনা প্রয়োজন। তা না হলে দিন দিন এসব যানবাহনের প্রভাবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ।
দুর্ঘটনার স্বীকার গুলিশাখালী কলাগাছিয়া গ্রামের শ্রী পরেশ চন্দ্র দাস (২৩) জানান, আমি রাস্তা দিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম । অটো ইজি বাইক সাইট দিতে গিয়ে পিছন থেকে আমার পায়ের উপর দিয়ে ট্রাক্টরের চাকা উঠিয়ে দেয় । এতে আমার পা ভেঙে যায়, এখনো পর্যন্ত আমি পরিপূর্ণভাবে হাঁটতে পারিনা । এমনকি আমার প্রায় ৪-৫ লক্ষ টাকা অপারেশন বাবদ খরচ হয় । কিন্তু কোন খরচ বহন করেনি ট্রাক্টর মালিক ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক চালক জানান, ট্রাক্টর ও ট্রোলির কারণে প্রতিনিয়ত সড়কে ও গ্রামীণ সড়কগুলোতে আমরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছি । তারা যখন রাস্তায় বের হয় তখন আমাদের খুব ভয় ভয় গাড়ি চালাতে হয়। কেননা পাশ্ব কাটিয়ে ওঠার জন্য যতটুকু রাস্তার আয়তন থাকার কথা সে অবস্থাতে নেই। তাই আমাদের বিব্রত অবস্থা পড়তে হয় ।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন , অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানাব মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে । তাছাড়া অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।

আরও খবর

Sponsered content