অপরাধ

দুমকিতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

  প্রতিনিধি ১৯ জুন ২০২২ , ৩:৩০:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

পটুয়াখালী প্রতিবেদক: পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া আজিজ আহম্মেদ কলেজের অধ্যক্ষ আহসানুল কবিরের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম-দূর্ণীতি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ জাল-জালিয়াতি ও নারী কেলেংকারীর অভিযোগ ওঠেছে।

 

রবিবার সকালে প্রেসক্লাব, দুমকির হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে কলেজ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য মুরাদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত মমতাজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন হাওলাদার তার লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেছেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০৫ সালের ৭’মে রসায়ন বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ (ইনডেক্স-৩০৭৯৭০৮) নিয়ে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রেজুলেশন ঘষামাজা করে একই বোর্ডে অধ্যক্ষের নিয়োগ দেখান।

 

এর আগে তিনি পটুয়াখালী সদর উপজেলার ধরান্দি কলেজে রসায়ন বিভাগের প্রদর্শক পদে কর্মরত ছিলেন (ইনডেক্স-৪২১৪৪৩). একই সময়ে দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরীকরাসহ সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত। অপর দিকে অধ্যক্ষ পদে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের ঘাটতি থাকা এবং স্নাতকোত্তর পাশের পূর্বেই তিনি কিভাবে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেলেন? বিষয়টি স্পষ্ট, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া কাগজপত্রে যোগ্যতা দেখিয়ে বিধিবহিভূত ভাবে অধ্যক্ষ পদে আসীন হয়। অধ্যক্ষের পদ ভাগিয়ে নিয়ে পরবর্তীতে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে সীমাহীন অনিয়ম- দুর্নীতি অর্থবাণিজ্য, প্রতিষ্ঠানের অর্থ-তশ্রুফ করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।

 

বিগত ২০২১ সালের ৪’নভেম্বর নিয়োগ বাণিজ্যের অভিয়োগে পটুয়াখালীর বিজ্ঞ জজ আদালতে মামলা চলমান আছে। যাহার (মামলা নং-১২৭৫/২১ ও ১২৭৬/২১)। অপর দিকে সম্পদশালী হওয়ার পর থেকেই নানা অসামাজিক কর্মকান্ডেও তিনি (অধ্যক্ষ) জড়িয়ে পড়েন। কলেজ সংলগ্ন এলাকায়ও একটি অসমাজিক কর্মকান্ডে ধরা পড়লে টাকার বিনিময়ে তা ধামাচাপা দেয়া হয়। অধ্যক্ষের এরুপ অনৈতিক কার্যকলাপে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি রক্ষায় বিধিবহিভূত নিয়োগের অধ্যক্ষ আহসানুল কবিরের দ্রুত অপসারনসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

 

এ বিষয়ে অভিযোগ অসত্য ও ভিত্তিহীন দাবি করে আজিজ আহম্মেদ কলেজের অধ্যক্ষ আহসানুল কবির বলেন, কলেজের পদার্থ বিদ্যা বিভাগের ল্যাবসহকারি পদে জনৈক সামসুন্নাহারের বয়স জটিলতার কারণে চাকুরি দিতে না পারায় তার স্বামী জসিম উদ্দিন হাওলাদার এসব বানোয়াট অভিযোগ এনে তার (আহসানুল কবির) সুনাম ও সম্মান হানি করছেন।

আরও খবর

Sponsered content