অপরাধ

বরিশালের দুই মাদক ব্যবসায়ীর পরিনতি!

  প্রতিনিধি ৭ জুলাই ২০২৩ , ২:৫৪:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

তালাশ প্রতিবেদক ::: বরিশাল নগরীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে নেশাদ্রব্য খাইয়ে রেদওয়ান আহম্মেদ নামের এক যুবকের হাত কেটে ফেলার অভিযোগে মূলহোতা জোনায়েদ আল মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আল মামুনকে গ্রেফতারের পর থেকেই তার নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে স্থানীয়রা।

বুধবার (৫ জুলাই) ভোররাতে র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার জোনায়েদ আল মামুন নগরীর বেলতলা এলাকার সামসুল হকের ছেলে।

এর আগে, সোমবার মধ্যরাতে বরিশাল জিলা স্কুলের পেছনের গেট সংলগ্ন পরেশ সাগর মাঠে নিয়ে রেদোয়ান আহম্মেদের বাম হাত কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করে আল মামুন ও তার সহযোগীরা। রেদোয়ান নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে রেদোয়ান।

জানা গেছে- ২০১৮ সালে পূর্ব বিরোধের জের ধরে মামুনের সঙ্গে রেদোয়ানের শত্রুতা হয়। রেদোয়ান জুনিয়র হলেও মামুনকে বিভিন্ন সময় অপদস্ত করত। এছাড়াও প্রকাশ্যে তাকে চড় মেরেছিল। এজন্য রাগে-ক্ষোভে তার হাত কেটে নেওয়ার পরিকল্পনা করে মামুন। পরিকল্পনা অনুযায়ী রেদোয়ানের সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। ‍সুযোগ বুঝে রেদোয়ানকে ফোন করে ডেকে নিয়ে মারধর করে হাত কেটে ফেলে।

কে এই জোনায়েদ আল মামুন?

জোনায়েদ আল মামুনের বিরুদ্ধে প্রায় ৬ টি মাদক মামলা রয়েছে। তার মধ্যে দুইটিতে তার সাজাও হয়েছে। তার বরিশাল বহুমুখি সিটি মার্কেটে ‘ব্যালেচর পয়েন্ট’ নামের একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে। আল মামুন দীর্ঘ সময় ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি নিজেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নিজেকে জড়িয়ে এলাকায় মাদকের শক্ত বলয় তৈরী করেন। তিনি এলাকায় মাদকের ব্যাপক বিস্তার করিয়েছেন। তবে মাদক বিক্রি করাই তার মূল পেশা ছিল। মাদক ব্যবসাকে আড়ালে রাখতেই আল মামুন নিজেকে রাজনীতিবিদ ও কাপড়ের ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিতেন। মাদক বিক্রির টাকা দিয়ে আল মামুন নিমিষেই কতিপয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে ফেলতেন। পরে তাদের পরিচয়ে বীরদর্পে এলাকায় মাদকের বিস্তার করতেন। এছাড়াও স্থানীয় বেশকিছু লোকজন তার মাদক ব্যবসায় সহযোগীতা করতেন। তার মাদক সম্রাজ্যের বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে মুখ খুলতেন না। কেউ মুখ খুললেই তার সহযোগী মাদক বিক্রেতাদের দিয়ে করাতেন হেনস্তা ও হয়রানি। এভাবেই জোনায়েদ আল মামুন নিজ এলাকায় একক আধিপত্য ও মাদকের সম্রাজ্য কায়েম করেন। এসব অপকর্ম সামনে আসার পর মামুনের পরিনতি কি হবে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষায় স্থানীয়রা।

এদিকে মামুন ও তার সহোযোগীদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করেছেন হাত বিচ্ছিন্ন হওয়া রেদোয়ানের পরিবার।

আরও খবর

Sponsered content