দেশজুড়ে

বাকেরগঞ্জে ক্লাস চলাকালীন ছাত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানীর ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা!

  প্রতিনিধি ২০ আগস্ট ২০২২ , ৪:০৪:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

বাকেরগঞ্জ প্রতিবেদক ॥ বরিশালের বাকেরগঞ্জে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এফ এম মিজানুর রহমান ওই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। ছাত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় দুই বখাটে ছাত্রের শাস্তির দাবিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুঁসে উঠেছে। তাদের ক্ষোভ যে কোন সময় বিক্ষোভে রূপ নিতে পারে।

বরিশালের বাকেরগঞ্জে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এফ এম মিজানুর রহমান ওই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। ছাত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় দুই বখাটে ছাত্রের শাস্তির দাবিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুঁসে উঠেছে। তাদের ক্ষোভ যে কোন সময় বিক্ষোভে রূপ নিতে পারে।

 

বুধবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১২ টার সময় মধ্যম মহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কমনরুমে এ ঘটনা ঘটে।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের মধ্যম মহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী বৃষ্টি আক্তারের সাথে একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র শাহজাদা খান আরিফের কথাকাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে বুধবার বিদ্যালয়ের ক্লাস চলাকালীন তৃতীয় পিরিয়ড শেষে বেলা ১২ টার সময় বৃষ্টি কমনরুমে গেলে বখাটে আরিফ ও অলিদ ওই ছাত্রীকে মারধর ও তার শ্লীলতাহানী ঘটায়। এতে সে চিৎকার দিলে অন্যান্য ছাত্রীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
বৃষ্টি আক্তারের পিতা সবুর খান এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়টি তিনি প্রধান শিক্ষককে জানালে তাকে চুপ থাকতে বলেন এবং প্রধান শিক্ষক শালিশ মীমাংসা করবেন বলেও জানান।

বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থী ও এলাকায় এ ঘটনা জানাজানি হলে ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত বখাটে শাহজাদা খান আরিফের পিতা শাহাদাত খান উঠে পড়ে লাগেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, শনিবার (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯ টায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এফ এম মিজানুর রহমান তড়িঘড়ি করে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে একটি মিটিং করেন। তিনি মিটিংয়ে একটি সাদা কাগজে অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার লিখে তাতে নিজের স্বাক্ষর না দিয়ে শুধু সিল ব্যবহার করেন।

এ বিষয়ে আলাপকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এফ এম মিজানুর রহমান জানান, তেমন কিছু ঘটেনি। তবে ছাত্রীর সাথে খারাপ আচরণের কারণে দুই ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মিম জানায়, বুধবার বেলা ১২ টার সময় একই ক্লাসের শিক্ষার্থী শাহজাদা খান আরিফ ও আবু তালেব অলিত আকন বিদ্যালয়ের কমনরুমে গিয়ে বৃষ্টি আক্তারকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। এ ঘটনা জানাজানি হলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রীর অভিভাবকদের থানায় অভিযোগ দিতে নিষেধ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রী জানান, বখাটে শাজাদা খান আরিফের পিতা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তার ভয় কেউ মুখ খুলছেন না। এমনকি বখাটে আরিফের পিতার ভয়ের কারণে ওই ছাত্রীর পরিবার থানায় অভিযোগ দিতেও ভয় পাচ্ছেন।

থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলাউদ্দিন মিলন বলেন, কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা। তিনি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবেন।

আরও খবর

Sponsered content