দেশজুড়ে

বাকেরগঞ্জে ভিজিএফ কার্ড নিয়ে অনিয়ম

  প্রতিনিধি ১৩ জুলাই ২০২০ , ১২:১২:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

তালাশ ডেস্ক ॥ সামাজিক ঝুঁকিপূর্ণ নারীদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি কর্মসূচির আওতায় (ভার্নারেব্ল গ্রুপ ডেভলপমেন্ট- ভিজিডি) হতদরিদ্র তালিকাভূক্ত নারীদের প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল দিচ্ছে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। তৃণমূলে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

 

কিন্তু সরকারের এই কর্মসূচিকে পূূঁজি করে গণহারে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বরিশালের বাকেরগঞ্জের কবাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বরদের বিরুদ্ধে। অনেকে টাকা দিয়েও কার্ড পায়নি, আবার অনেকের নাম তালিকায় থাকার পরও তারা চাল পায়নি।

 

অসহায় দরিদ্রদের ঠকিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাত করছেন বলে অভিযোগ তাদের। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান চাল আত্মসাত কিংবা টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করলেও এ ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

 

ভিজিডি কর্মসূচীর আওতায় বরিশাল জেলায় ২৭ হাজার ৯শ’ ১৪ জন হতদরিদ্র নারীকে প্রতিমাসে বিনামূল্যে ৩০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিচ্ছে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।

 

বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে সরকারের এই খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন ৩ হাজার ৩শ’ ৭জন নারী। ওই উপজেলার কবাই ইউনিয়নে সরকারিভাবে ২শ’ ৪৯জন নারীর জন্য ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ হলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম্য চৌকিদাররা কার্ড দেয়ার কথা বলে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে গণহারে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা করে আদায় করেন।

২ বছরের কর্মসূচির দেড় বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত অনেক অসহায় দুঃস্থ নারী কার্ড পায়নি। আবার তালিকায় নাম থাকার পরও অনেকে বরাদ্দের চাল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

চেয়ারম্যান-মেম্বার মিলে হতদরিদ্রদের চাল আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ করেন বঞ্চিতরা। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ঘটনার বিচার দাবী করেন।

 

তবে হতদরিদ্রদের চাল আত্মসাত ও ভিজিএফ কার্ড দেয়ার কথা বলে অর্থ আদায়ের ঘটনায় দায়সারা বক্তব্য দিয়েছেন কবাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল হক তালুকদার। তিনি বলেন, পরিষদ থেকে ভিজিএফ কার্ড দেয়ার পর কেউ কার্ড বিক্রি করে দিলে তার জন্য তিনি দায়ী নয়। তার নাম করে কেউ অর্থ আদায় করলে সেজন্য তিনি দায়ী নয়। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে কবাই ইউনিয়নে হতদরিদ্র নারীদের ভিজিএফ চাল আত্মসাত ও অর্থ আদায়ের অভিযোগ তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান। তিনি বলেন, বাকেরগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে ওই অভিযোগ তদন্ত করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তার তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content