প্রতিনিধি ২৯ এপ্রিল ২০২০ , ১২:১৯:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক॥
বরিশাল সদর উপজেলার এক ছাত্রলীগকর্মী বরিশাল নগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর তোসামদি করে আস্তা অর্জনের কৌশল নিতে গিয়ে একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত ওই ভিডিওচিত্রে সিটি মেয়রের পক্ষ নিয়ে জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানকে বোকার স্বর্গে বাস করেন ও আহাম্মক বলে মন্তব্য করেন বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান সুজন।
নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে আফলোড সেই ভিডিওতে ভাষনের আদলে সুজন গোটা বরিশাল বাসীকে আহাম্মক বলে বে-ফাঁস মন্তব্য করেন। সুজনের ভিডিও নিয়ে গোটা বরিশালে টক অব দ্য টাউনে পরিনত হয়েছে। বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানকে বে-ফাঁস মন্তব্য করার বিষয়টি নিয়ে,দিন রাত বরিশালবাসীর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানকে নিয়ে মন্তব্য করার প্রশ্নই আসে না , সে বলার কে? এই সব রাজনীতি তো পছন্দ করি না বরিশাল শহরের লোকজনের সাথে খারপ ব্যবহার করবে আর সরকারি লোকজনদের মারধর করবে এদের ছাড় আমি দিবো না। অন্য এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, খুব ভালো পাইছে আমারে,খুব ভালোবাসছে।
আমার পরিবার একান্তই আমার বিষয়, আমার পরিবার তো বরিশালবাসী আমি তাদের সাথেই আছি মনে করি।
সুজন সদর উপজেলার ছাত্রলীগ করে ।কত লোকে কত কথাই না বলে। অনেকে ভালো বলে প্রশংসা করে প্রশংসা করতে গিয়া এমন কথা বলে ফেলায় এক নেতার সাথে অন্য নেতার তুলনা করে ।
এইটা কি বলার আছে বলেন,আমি কি ওরে বলতে পারবো এই বেটা তুই আমরে ভালোবাসলি না বাঁশ দিলি ।
ভিডিও আমি দেখবো অবশ্যই দেখবো। দুই মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে মনে করেন আমারে বাশঁ দিছে,আমারে ভালোবাসে নাই তো। সে জেলা প্রশাসককে নিয়া কথা বলার এখতিয়ার রাখেনা।
সেদিন তো আমার চেয়ে পদমর্যাদায় মন্ত্রী শামীম কাকা ছিলো। সুজন এ কথা বলার কে ? সে সিটি কর্পোরেশনের নাগরিকও না ।
বরিশালে অন্যায় যে করেছে তাকে আমি ছাড় দেইনি। অন্যায় যেটা সেটা অন্যায় । যারা অন্যায় করে থাকবে তাদের বিষয় আমার কোন তদবির নাই।
বরিশালের মানুষ শান্তিতে থাকুক আমরা শান্তিতে থাকি । মানুষ শান্তিতে থাকতে চায় শান্তিতে রাখা চেষ্ঠা করি ।
সদর উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন’র বিষয়টি নিয়ে জেলার সভাপতি সুমন সেরনিয়াবাত বলেন, শুধু সদর উপজেলা নয় সংগঠনের কেউ এমন কর্মকান্ড করে থাকলে আমরা অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো। যে কথা গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বলছেন তা ঠিক করেননি ।