প্রতিনিধি ১২ জুলাই ২০২২ , ১:৫৭:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ
হিজলা প্রতিনিধি।বরিশালের হিজলা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় হিজলা গৌরবদি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড চরকিল্লা
বাজারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেও ঘটনা ঘটে।এতে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে। আতঙ্কে তিন
গ্রামের মানুষ।
৯ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭ থেকে প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপী কালাম সর্দার ও সিরাজ সিকদার
গ্রুপের মাঝে ধাওয়া পাল্টা দেওয়া হয়। আহতরা হলেন সুমন, আসিক, ছত্তার, রশিদ।
প্রথমে কালাম সরদারের দলবল দেশীয় অস্ত্র রামদা লাঠিসোঠা নিয়ে চরকিল্লা বাজারে রাছেল
সিকদারের মুদি দোকানে ভাংচুর ও লটপাট করে দোকানের ক্যাশবাক্সে থাকা নগদ টাকা
নিয়ে যায়। এছাড়াও কাচামাল ব্যবসায়ী ছত্তার মাঝিতে মারধর করে দোকান ভাংচুর
চালিয়ে বাজারে মহড়া দিতে থাকে। এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজ শিকদারের দলবল
আস্তে আস্তে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে কালাম সরদারের দলকে ধাওয়া করে। পরে এসংবাদ পেয়ে হিজলা
থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
সরোজমিনে গিয়ে জানাযায় কালাম সরদার প্রায় এক যুগ ধরে ইউনিয়নের ১ ও ২ নং
ওয়ার্ড শাসন করে আসছিল তিনি নিজেও ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং তার ছেলে
কবিরের স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের সদস্য ছিল। সেই সুবাধে গোটা এলাকা নিয়ন্ত্রন ছিল
কালাম সরদারের।
গত ১৫ জুন নির্বাচনে বাদ পড়ে তার ছেলের স্ত্রী ও ২ নং ওয়ার্ডের তার আত্নীয় ইউপি
সদস্য গনি বাঘা, নবনির্বাচিত সদস্য সেরাজ শিকদার ২ নং ওয়ার্ডে কালাম সরদারের
কোন প্রভাব না খাটাতে দেওয়ায় এই সংঘর্ষেও সৃস্টি।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানায় নাসির সরদার যদি উভয় পক্ষের সংঘর্ষে মধ্যে থেকে না
থামাতো তাহলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা হত।
নাসির সরদার জানায় কালাম সরদারের দলবল যে ভাবে বাজারে তান্ডব চালায় তা প্রতিহত করার
জন্য সিরাজ সিকদারের দলবল ও বাজারে ঢোকার চেস্টা করলে আমি উভয় পক্ষকেই থামাকে
চেস্টা করি, এই সংঘর্ষে হাত থেকে আমার ছেলে সুমন ও রক্ষা পায়নি।
আব্দুল কাদের সিকদার জানায়, ৮ তারিখ দুপুরে গনিবাঘার মেয়ে জামাই সোহাগকে
সিরাজের লোকজন মারধর করে ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৯ তারিখ সন্ধায় কালাম সরদারের
লোকজন সিরাজের লোকজনকে ধাওয়া করে এতে উভয়ের মধ্যেই ইটপাটকেল মারামারি হয়।
ঈদের দিন সকালে আবার আমার ছেলে মোকসেদ ঈদের নামাজ পড়তে মসজিদে গেলে
সেখানে সিরাজের লোকজন মারধর করে।
নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য সিরাজ সিকদার জানায় এঘটনার সময় আমি মেমানিয়া
ইউনিয়নের টেকেরহাট বাজারে ছিলাম ঐ সময় স্থানীয়রা ফোন করে ঘটনা সম্পর্কে
জানায়। তিনি আরো বলেন আমার ভাইয়ের দোকানে কালাম সরদারের ছেলে কবির,
মাইনুদ্দিন, বিপ্লব এর নেতৃত্বে ভাংচুর চালিয়ে টাকা পয়সা নিয়ে যায়।
কালাম সরদার একই ভাবে জানায় ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না কি কারনে এরকম হয়েছে
আমি জানিনা।
হিজলা থানা অফিসার ইনচার্জ ইউনুছ মিয়া জানায় ঐ এলাকায় পুলিশ টহল জোরদার
করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন ঐ ঘটনায় ২ টি মামলা হয়েছে। গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি