অপরাধ

চরবাড়ীয়ায় নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই ভেঙে পড়েছে কালভার্টের একাংশ!

  প্রতিনিধি ২২ মে ২০২৪ , ৩:১৯:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

ফাইজুল ইসলাম/গোলাম রাব্বি ॥  নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর পরই বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়ীয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ লামছড়ী গ্রামের সিকদার বাড়ি খালের উপর নির্মিত একটি কালভার্টের একাংশ ভেঙে পড়েছে। এমনকি কালভার্টের বিভিন্ন অংশেও দেখা দিয়েছে ফাটল। এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ নিম্নমানের কাজের কারণে কাজ শেষ হতে না হতেই কালভার্টটি ভেঙে গিয়েছে।

 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে দক্ষিণ লামছড়ী গ্রামের সিকদার বাড়ি খালে ৪২ লাখ ৬৯ হাজার ৯০৭ টাকা ব্যয়ে ৩২ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি কালভার্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। নকশায় ওই কালভার্টের নিচে রড ও কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে দুই পাশে দেয়াল নির্মাণের কথা রয়েছে। ইটের দুটি দেয়ালের ওপর পাকা ঢালাই দিয়ে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছে। পূর্ব পাশে প্রতিরক্ষা দেয়াল ভেঙে ঝুলে রয়েছে। কালভার্টের দুই পাশে মাত্র ০৭ ইঞ্চি চওড়া করে দেয়াল দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এক পাশের দেওয়ালে প্রায় তিন ফুট দীর্ঘ ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা রফিক মুন্সি, তাহির খান ও আবুল বাষার বলেন, ‘এ রাস্তা দিয়ে এলাকার সহস্রাধিক লোক সদরে আসা-যাওয়া করে। এ ছাড়া ধানের মৌসুমে এলাকার লোকজন এ রাস্তা দিয়ে ফসল নিয়ে যায়। তাদের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ হওয়ার কারণে ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি কালভার্টটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। কালভার্টটি নুতন করে নির্মাণ করে দেওয়ার দাবি জানান তারা।

 

কালভার্টটির এক নির্মাণ মিস্ত্রির সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য দুই পাশে কিছু মাটি ফেলা হয়। যার কারণে মাটির চাপে কালভার্টে ভাঙন ও ফাটল দেখা দিয়েছে। নকশা অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ারের উপস্থিতিতে এ ঢালাই হয়েছে, আমাদের যেভাবে বলবে সেভাবেই কাজ করবো।’

 

মরিয়ম এন্টারপ্রাইসের ঠিকাদার দাবি করে আমির হোসেন বলেন- ঝামেলাতো হয়ে গেছে। কাদামাটি দেয়ায় ভেঙেগেছে। আমিতো আবার করে দিবো বলে তিনি ঘটনাস্থল থেকে চলেজান।

 

চরবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহাতাব হোসেন সুরুজ আজকের তালাশকে বলেন- ‘কালভার্টটি নির্মান করতে আসা মরিয়ম এন্টারপ্রাইসের কেহ আমার সাথে যোগাযোগ না করেই এমন নামে মাত্র কাজ করেছে। আমি এই কালভার্টের পুন নির্মান চাই।

 

বরিশাল সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহসান হাবীবের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া জায়নি।’

আরও খবর

Sponsered content