প্রতিনিধি ২৪ নভেম্বর ২০১৯ , ৪:২৮:১০ প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল অফিস।।
বরিশালের মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের র্পূব রামচর লঞ্চ ঘাটে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘাটটি বোয়ালিয়া লঞ্চ ঘাট হিসেবে পরিচিতি। টার্মিনালে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় সহ যাত্রীদের সাথে দূর-ব্যবহারসহ আরো বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে এই ঘাটটির ইজারাদারের বিরুদ্ধে।বোয়ালিয়া ঘাটটির ইজারাদার আলোচিত মোঃ কবির হোসেন মোল্লা।
স্থানীয়দের দাবি, কিছু স্থানীয় নেতাদের রহস্যজনক ভূমিকার কারনে প্রতিনিয়ত লাগামহীন হয়ে পড়েছে তার অনৈতিক কর্মকান্ড। কোন ভাবেই যেন কমছে না কবির হোসেনের অনিয়ম। যা নিয়ে সর্ব মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হলেও ডোন্ট কেয়ার কবির হোসেন মোল্লা সিন্ডিকেট। যাত্রী দূর্ভোগ এমন আকার ধারন করেছে যা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ উপলব্ধি করা কষ্ট হবে।এক কথায় ঘাটটি যাত্রী সাধারনের কাছে অভিশাপে পরিণত হয়েছে।
অতিরিক্ত টোল আদায়, যাত্রীদের সাথে খারাপ আচারনসহ নানাবিধ অপকর্ম করে যাচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই। ইজারাদারসহ তার লোকদের কাছে অনেকটা অসহায় হয়ে ঘাট দিয়ে যেতে হচ্ছে রাজধানী ঢাকা সহ নৌ পথে পারাপার হতে হচ্ছে। প্রতিদিন রাজধানী ঢাকায় এই ঘাটটি দিয়ে ৭ টি বিলাস বহুল লঞ্চে উঠা নামা করেন কয়েক শত যাএী। কেউ কোন প্রকার প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। কোন যাত্রী প্রতিবাদ করলে তার উপরে নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। যাত্রীদের সুবিধার্থে বোয়ালিয়া লঞ্চঘাটের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে স্থানীয় সাংসদ জাপা নেতা আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া টিপুর কাছে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা ভুক্তভোগীদের।
সূত্রমতে, বিআইডব্লিউটি অনুমোধিত ঘাট টিকিট মুল্য ৫ টাকা। কাগজে রশিদ বহি ৫ টাকা ছাপিয়ে ৫ টাকা কেটে ১০ টাকা আদায় করেন ইজারাদার মোঃ কবির হোসেন মোল্লা।এক জন সাধারান যাএী লঞ্চ ভাড়া ৫ টাকা দিতে গিয়ে ঘাটে গুনতে হয় ১০ টাকা।এই নিয়ে কোন যাএী কথা বলে তার সাথে চড়া হয়ে খারাপ আচারন করেন ইজারাদার।এমনও শত শত অভিযোগ থাকলেও রহস্যজনক কারনে ইজারাদার রয়েছে বহাল তবিয়তে।
তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ইজারাদার মোঃ কবির হোসেনকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।