অপরাধ

বরিশালে মালিক সমিতির নামে কার পকেটে যায় দৈনিক ১ লক্ষ টাকার চাঁদা!

  প্রতিনিধি ২৪ জুন ২০২৪ , ৪:০৫:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

খন্দকার রাকিব ॥ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন হিরন পয়েন্ট এলাকায় বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়কে চলাচলকারি যাত্রীবাহি বাস থেকে প্রতিদিন প্রায় ১ লক্ষ টাকার অধিক চাঁদা তুলছেন বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির পরিচয়ে কিছু যুবক। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ৫ থেকে ৬ জন যুবক প্রতিটি বাস থেকে ২০০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করছেন। মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের কঠোর নির্দেশনা থাকলেও বরিশালের মহাসড়কের চিত্র ঠিক বিপরীত। প্রকাশ্যে চাঁদা তুললেও দেখেও না দেখার ভান করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

সূত্র মতে- প্রতিদিন প্রায় ৩০০ টিরও বেশি বাস চলাচল করে এই রুটে। সে হিসেবে ৩০০টি বাস থেকে আপডাউনে ২০০ টাকা করে নিলে মোট চাঁদা উত্তোলন হয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। হিরন পয়েন্ট থেকে কোন স্লিপ ছাড়াই এই টাকা আদায় করেন শাওন, অলিউল্লাহসহ আরো ৩ থেকে ৪ জন।

 

চাঁদা উত্তোলনকারী শাওন জানান- বাস মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে তিনি আছেন। তবে স্টাফদের বেতন বাবদ মালিক সমিতির হুকুমে প্রতিটি গাড়ি থেকে ২০০ টাকা করে উত্তোলন করা হচ্ছে। ডলফিন, সেভেন ডিলাক্স, তেতুলিয়াসহ বেশ কিছু বাসের চেকার রয়েছে তাঁরা বেতন হিসেবে আপডাউনে এই টাকা তুলছেন। কোন ধরনের স্লিপ ছাড়া টাকা উত্তোলন করার বিধান আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।

 

বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, আপনারা ওখানে গিয়েছিলেন আমি শুনেছি। আমাদের সংগঠনের নামে কোন চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে না। আমাদের নির্ধারিত ৫ জন ওখানে মাহেন্দ্রার যাত্রী চেকিং করে। আর যারা টাকা তোলেন তারা বাস মালিকদের পক্ষে চেকিংয়ের দ্বায়িত্বে রয়েছেন। আমাদের সংগঠনের নামে রুপাতলি থেকে কিছু টাকা ওঠে। তবে সেটা অফিস খরচ, ট্রাফিক খরচ, আমাদের খরচসহ অন্যান্য খরচ বাবদ তোলা হয়।

 

এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা এস আই আরিফ বলেন, কোনো ভাবেই সড়কে চাঁদাবাজির নিয়ম নেই। আমি এমন চাঁদাবাজির ঘটনা শুনে বাস ড্রাইভারদের সাথে কথা বলি। তারা আমাকে টাকা দেয়ার কথা অস্বীকার করেন। তবে যারা চাঁদাবাজি করে তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content