প্রতিনিধি ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৮:১৬:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১২-নং রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বিহারীপুর গ্রামের নজরুল মৃধার ঘরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চিহ্নিত সাতজন সহ অজ্ঞাত নামা আরো ১৫/২০ জন সশস্ত্র হামলা চালান।
হামলার সময় ঘরে থাকা গৃহস্ত মহিলারা পিছনের দরজা খুলে জীবন এবং ইজ্জতের ভয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে পালিয়ে যান।
উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অভিযোগকারী আব্দুর রহমান মৃধা জানান যে, ০৭/০৯/২০২০ইং তাং সোমবার দিবাগত সন্ধ্যা রাত আনুমানিক ০৯ ঘটিকার সময় নগদ অর্থের আলামত পেয়ে প্রধান অভিযুক্ত শহিদ খান (৪৫) গং একদল খ্যাপাটে টাইপের উগ্র মেজাজের ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র সহ দুইটি পৃথক পৃথক ঘরে হামলা চালায়।
হামলার সময় অভিযুক্ত আব্দুর রহমান মৃধা ও বাদীর অভিযোগপত্রের প্রধান সাক্ষী ফরিদ মৃধার বসতঘরের সামনের ঘরের অংশ কোপাইয়া মূল গৃহের শাল দরজা জোরালো লাথি গুতো মারিয়া মূল ঘরের ভেতর প্রবেশ করে ঘরের আসবাবপত্র মাল জিনিস ভাঙচুর করে এবং শোকেজের ডয়ারে রাখা মাছ বিক্রির নগদ ৪০০০০-টাকা দুর্ধর্ষ ডাকাতির স্টাইলে নিয়ে যায় আর গালিগালাজ করিতে থাকে। অতি ভয়ে ঘরগেরস্থে থাকা মহিলারা দরজা ভাঙচুরের সময় পিছনের দরজা খুলিয়া অন্যত্র পালিয়ে যায় জীবন এবং ইজ্জতের ভয়ে।
পরবর্তীতে মানুষের তেমন সাড়া না পাওয়া গেলেও বাকেরগঞ্জ থানায় অফিসার ইনচার্জ বরাবর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহ ভাড়াটে ডাকাত সহ প্রধান অভিযুক্ত মোঃ শহিদ খান গং দের কে আটকের উদ্দেশ্যে তারা করিলে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে অবশেষে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় বাদী রহমান মৃধা ও তাহার পরিবার এবং মামলার প্রধান সাক্ষী সমন্ত সকলে পরিবারের সদস্যগণ এমন হিংস্র দানব প্রকৃতির মানুষগুলোর সন্ধিহান পুনরাবৃত্তি হামলার আতঙ্কে দিন রাত কাটাচ্ছেন।
উপযুক্ত সময়ে আসামি গণগ্রেপ্তার না করা হইলে পুনরায় আবারো কোন ভয়াবহ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হামলার বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারের কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান যে, হামলার ঘটনা প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে পুলিশ দোষীদেরকে সাব্যস্ত করে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবে বলে আশা করি।