প্রতিনিধি ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ , ১২:৪৬:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খেদাপাড়া গ্রামের ফজর আলীর মেয়ে ফজিলা খাতুন নামের এক মহিলা এক হাতুড়ে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে প্রান যায় যায় অবস্থায়। বর্তমানে ঝিনাইদহ ডায়াবেটিস হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। ঝিনাইদহ ডায়াবেটিস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফজিলা জানায়, হাতের সমস্যা নিয়ে গত শনিবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা বাজারে তপু মেডিকেল হলে পল্লী চিকিৎসক মনোজিৎ কুমার বিশ্বাসের নিকট গেলে সে তার হাত অপরেশন করে দেয়। এই সময়ে তাকে জানানো হয় যে তার ডায়াবেটিস আছে। তারপরেও সে তার হাতে অপরেশন করে দেয়। যার কারনে অপরেশনের পরের থেকে তার অবস্থান অবনতি ঘটতে থাকে। তখন তাকে গত মঙ্গলবার ঝিনাইদহ ডায়াবেটিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এব্যপারে পল্লী চিকিৎসক মনোজিৎ কুমারের কাছে তার সম্পর্কে জানতে চাইলে সে বলে, আমার কোন সার্টিফিকেট নাই তবে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে চিকিৎসা দিয়ে থাকি এবং ওষুধ বিক্রি করি। এই অপারেশন সম্পর্কে সে বলে আমি রোগিকে অপারেশন করে পুজ রক্ত বের করে তার জ্বালা যন্ত্রনা নিবারণের চেষ্টা করেছি। তবে তার লিখিত প্যাডে পল্লী চিকিৎসক লেখা থাকলেও এবং তার ফার্মেসীর দেওয়ালে কাগজ দিয়ে লেখা আছে ডাঃ মনোজ বিশ্বাস এস,এম,এফ (ঢাকা) অপারেশন সহকারী সার্জন। বাস্তবে সে কোন সার্টিফিকেট দেখাতে পারে নাই। দোকানের একটি ওষুধের লাইসেন্স আছে যার ইস্যুর তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখের কোন মিল নাই। গ্রামের সাধারণ মানুষের সাথে সরল বিশ্বাসে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে। এলাকাবাসীরা এই ভূয়া ডাক্তারের জোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।