Uncategorized

ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নিজ নামের সম্পত্তি গোপন রেখে খাসজমি বন্দোবস্ত

  প্রতিনিধি ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৪:৫১:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

তালাশ ডেস্ক ॥ মাধবপাশা ইউনিয়নে নিজ নামের সম্পত্তি গোপন রেখে খাসজমি বন্দোবস্ত নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়টির গোয়ালদি মুশুরিয়া গ্রামের সাইদুল ও তার স্ত্রীর নামে ।

সেই জমিতে একটি টিনের ঘর উত্তলন করায় গ্রামবাসীর মাঝে চানচল্যকর ঘটনা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে গোটা ইউনিয়ন বাসিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে সাইদুল।

সাইদুল ওই গ্রামের মৃত আক্কেল আলির পুত্র সে। পেশায় একজন পল্টি ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।

নিয়ম নিতিমালা অনুযায়ী ভূমিহীন পরিবারা পাবেন সরকারি খাস জমি। সেই তালিকায় ওই ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রীর নাম রয়েছে বলে জনিয়েছেন ৬ নং ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন।

জানা গেছে, ২৫২ খতিয়ানে গোয়ালদি মুশুরিয়া (জেল এর নং ৫৩) ২২ নং দাগে সাইদুলের সম্পত্তি রয়েছে ৬৭ শতাশং ওই খতিয়ানে রয়েছে সাইদুল পরিবারের এক একর বিশ শতক সম্পত্তি।

ধারনা করা হচ্ছে , ইউপি চেয়ারম্যানকে বিপাকে ফেলার জন্য ছাইদুল এমন মিশন হাতে নিয়েছেন। ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রকৃত ভূমিহীনদের বরাদ্দ না দিয়ে সম্পদশালী দম্পতির নামে খাসজমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে বলে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

এদিকে ছাইদুলের জমি দখল দেখে ভূমিহীনদের মাঝে সমোলচনার ঝড় বইছে । একই এলাকার মধু কুড়ির পুত্র স্বপন কুড়ি নামে এক ব্যাক্তি জানান, ছাইদুলের ৬৭ শতাশং জমি আছে তো কম জানেন, খোঁজ নিয়ে দেখেন ভাই তার এর চেয়ে বেশি জমি আছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ,ছাইদুলের একটি ভবন রয়েছে সে কয়েক একর সম্পতির মালিক । সে কি করে খাস জমি পায় তা চিন্তা করা যায় না।

এবিষয় ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন বলেন, ছাইদুল বন্দোবস্ত জমি পাওয়ার জন্য ২০১৮ সালে আবেদন করেণ ।

সে অনুযায়ী তার নামে বন্দোবস্ত তালিকায় নাম রয়েছে। বন্দোবস্ত জমি পাওয়ার বিষয় নিয়ে ছাইদুলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এই ভবন আমার নয়, আমার স্ত্রীর টাকায় ভবন তৈরি করেছি।

ছাইদুলের ভিডিও বক্তব্য রয়েছে এই প্রতিবেদকের কাছে। অপর এক প্রশ্নেরের জবাব না দিয়ে তিনি নিউজ প্রকাশ করতে না বলেন।

এসময় তিনি চা খাওয়ার জন্য বলে থাকেন। অপরদিকে ছাইদুলের বন্দোবস্ত জমি পাওয়ার বিষয় নিয়ে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দেয়ার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।

আরও খবর

Sponsered content