প্রতিনিধি ২৬ মার্চ ২০২৩ , ৮:১৫:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশ ইতিমধ্যে পার করেছে স্বাধীনতার ৫৩ বছর। দেশটা স্বাধীন হবার পিছনে যে ব্যক্তিটির অবদান অপরিসীম, যিনি না থাকলে হয়তো বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডটির জন্মই হতো না তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জেলা প্রশাসন বরিশালের আয়োজনে যথাযথ মর্যাদায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়।
২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরিশালের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা দিবস ২০২৩ এর শুভ সূচনা করা হয় পরে একে একে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পরে কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন ত্রিশ গোডাউন বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভে অভিমুখে পদযাত্রা। সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন বিভাগীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন বরিশালসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
সেখান থেকে পদযাত্রা করে শহিদ এডিসি কাজী আজিজুল ইসলাম সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। সেখান থেকে সকাল ৮ টায় বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বিভাগীয় কমিশনা মহোদয় কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং সেখানে বেলুন ফেস্টুন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস এর শুভ সুচনা করেন।
সকাল ১০ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল মোঃ আমিন উল আহসান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক বরিশাল মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক বরিশাল এসএম আক্তারুজ্জামান, পুলিশ কমিশনার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ মোঃ সাইফুল ইসলাম বিপিএম (বার), পুলিশ সুপার বরিশাল ওয়াহিদুল ইসলাম পিপিএম, সাধারণ সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগ বরিশাল তালুকদার মোঃ ইউনুস, বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এস এম মহিউদ্দিন মানিক বীর প্রতিকসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা, মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতে প্রামাণ্যচিত্র টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই প্রদর্শনী করা হয় পরে অতিথিরা আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বাদ জুম্মা শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনায় কালেক্টরেট জামে মসজিদে বিশেষ প্রার্থনার করা হয়। দুপুরে হাসপাতাল, কারাগার, শিশু সদন ও বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রসহ অনুরুপ প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
এদিকে বিকাল ৪ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।