অপরাধ

অবরোধেও সচল বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহীমের লঞ্চ

  প্রতিনিধি ২ নভেম্বর ২০২৩ , ৩:৫৫:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

তালাশ প্রতিবেদক॥  বিএনপির ডাকা সর্বাত্নক অবরোধের মধ্যেই খোদ দলটির কেন্দ্রীয় নেতা হাফেজ ইব্রাহীমের মালিকানাধীন লঞ্চ চলছে নির্বিঘ্নে। মঙ্গলবার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে তার দক্ষিণাঞ্চলগামী দুটি লঞ্চ ঢাকা ছেড়ে যায়। এমভি তাসরিফ-২ লঞ্চটি সন্ধ্যা ৬ টায় ঢাকা থেকে মনপুরা হাতিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তার ২ ঘন্টা পর এমভি তাসরিফ-৪ রাত সোয়া ৮টায় ঢাকা থেকে ভোলার চরফ্যাশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।বুধবার ঢাকা সদরঘাটে অবরোধ পরিস্থিতির প্রভাব দেখতে গেলে এই তথ্য জানা যায়। সরেজমিন দেখা গেছে, এমভি তাসরিফ লঞ্চ ঘাটে নোঙর আছে আর যাত্রীর জন্য হাঁকডাক করছেন লঞ্চের কর্মচারীরা। পরে যাত্রী ও মালামাল নিয়ে যথাসময়ে ছেড়ে যায় লঞ্চ দুটি। লঞ্চের মালিক হাফিজ ইব্রাহীম ২০০১-০৬ মেয়াদ বিএনপি

সরকারের সময় ভোলা-২ আসনের (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) সংসদ সদস্য ছিলেন।তিনি এখন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। ভোলা জেলা বিএনপির আহ্বায়কও ছিলেন হাফিজ। দলের সম্পদশালী এই নেতার ভাই গিয়াসউদ্দিন আল মামুন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত

চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পরিচিত। পরে এ বিষয়ে লঞ্চের ম্যানেজার জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, হাফিজ ইব্রাহীমের চারটি লঞ্চ রয়েছে। তার মধ্যে অবরোধের প্রথম দিনেই দুটি লঞ্চ সচল ছিল। যাত্রী সেবা ও ব্যবসার কথা চিন্তা করেই অবরোধের মধ্যে লঞ্চ চালু রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহীমের সঙ্গে কথা সম্ভব হয়নি। তবে তার স্ত্রী মাফরুজা সুলতানা বলেন, দেখুন অবরোধ তো রাজনৈতিক বিষয়। আর লঞ্চ চালানো তো বাণিজ্যিক বিষয়। এখানে আমাদের ব্যবসা জড়িত। দলীয় কারণে কমার্শিয়াল বিষয়ে প্রভাব পড়তে পারে না। এক দিন লঞ্চ বন্ধ রাখলে অনকে লস হয়। ঢাকা থেকে ভোলা যেতেই তেলসহ ৭ লাখ টাকা খরচ। এখন অবরোধে যাত্রী কয়জন পাওয়া যায় দেখার বিষয়। আর বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন গ্রেফতারের আগে বলেন, আমি পুরো বিষয়টি বলতে পারব না। তবে দলের একজন দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে তার লঞ্চ ছাড়া ঠিক হয়নি। যেখানে আমরা বরিশালে সারাদিন অবরোধ কর্মসূচি সফলে রাজপথে ছিলাম। সেখানে ওনার কাজটি উচিত হয়নি। হরতালের পর নতুন কর্মসূচি হিসেবে রোববার ৩ দিনের রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথে সর্বাত্নক অবরোধের ঘোষণা দেয় বিএনপি, যা চলে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের ‘হত্যা’, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে

গ্রেফতার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করছে দলটি। যুগপৎ আন্দোলনে না থাকলেও বিএনপির সঙ্গে মিল রেখে হরতালের পর অবরোধও পালন করছে দলটির সাবেক শরিক জামায়াতে ইসলামী। বিএনপির সিদ্ধান্ত আসার পরদিন তারাও ৭২ ঘন্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেয়। বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিন দিনের অবরোধে মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে আলাদাভাবে তারা মিছিল এবং সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে সরকারের পদত্যাগের দাবি তোলে। তবে নৌপথ এলাকার অবরোধের সমর্থনে কোনো মিছিল কিংবা পিকেটিং এর খবর পাওয়া যায়নি।

আরও খবর

Sponsered content