অপরাধ

কলাপাড়ার লালুয়ায় পল্লী বিদ্যুতের নতুন লাইন সংযোগের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজী !

  প্রতিনিধি ১ জুলাই ২০১৯ , ১:৪২:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশাল অফিস :-
 কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের নতুন লাইন টানার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নতুন সংযোগ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে সর্বনিম্ন পাঁচ শ’ থেকে এক/দেড় হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। ওই এলাকার ইউপি মেম্বার মাসুদ হাওলাদারের নির্দেশে একই গ্রামের রুহুল আমিন প্যাদা টাকা আদায় করছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। গ্রামের নিতান্ত সহজ-সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে হাজার-হাজার টাকা তোলা হয়েছে। হত-দরিদ্র, দরিদ্র মানুষরা পর্যন্ত রেহাই পায়নি। নতুন বিদ্যুত সংযোগ দেয়ার লাইন টানার কথা বলে টাকা তোলা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ জিম্মিদশায় পড়েছে। তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। অপরদিকে সরকারের ভাবমুর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে।
চান্দুপাড়া গ্রামের বেল্লাল শরীফ জানান, তাদেরকে পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগ দেয়ার কথা বলে পাঁচ শ’ টাকা নেয়া হয়েছে। একই অভিযোগ স্বপন হাওলাদার, জাকির পল্লান, হিমু বিশাস, লাবনী বিশাস, সোহরাব আকন, প্রতিবন্ধী ফারুক, বশির হাওলাদার, সুমন, আমির হোসেন একই অভিযোগ করলেন। বর্তমানে বিষয়টি ওপেন-সিক্রেট হয়ে গেছে। অভিযুক্ত রুহুল আমিন প্যাদা বলেন, ‘ অফিসারে কইছে মেম্বারের কাছে। আমি গত দুই দিনে (শনি ও রোববার) সাত/আট হাজার টাহা উডাইছি। রোববার সন্ধ্যায় মেম্বারের কাছে দিয়া দিছি। হেরা কইলে আইজ ফেরত দিয়া দিমু।’ তিনি অফিসারের কোন নাম জানাতে পারেননি। ইউপি মেম্বার মাসুদ হাওলাদার জানান, আমাদের এলাকায় বিদ্যুত লাইন টানার চেষ্টা করছি। টাকা তোলার বিষয় পাল্টা প্রশ্ন, কেডা কইছে। এক ঘন্টা পরে ফোন করবেন বলে সংযোগ কেটে দেন। পল্লী বিদ্যুত সমিতির পরিচালক প্রভাষক ইউসুফ আলী জানান, কেউ নতুন সংযোগ দেয়ার নামে চাঁদাবাজি করলে তার দায়-দায়িত্ব তার। প্রমাণ মিললে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পল্লী বিদ্যুত সমিতির কলাপাড়ার ডিজিএম প্রকৌশলী মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান, খোঁজ নিয়ে দেখছেন। তিনি পরামর্শ দিলেন যদি কেউ টাকা তোলেন, তাকে গাছের সঙ্গে বেধে মাইর দেয়া প্রয়োজন।

আরও খবর

Sponsered content