Uncategorized

জালিয়া‌তি মামলায় দাড়িয়াল ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামসহ ৫ ভাই-বোন কারাগারে!

  প্রতিনিধি ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৬:৫৮:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

তালাশ ডেস্ক ॥ জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া নিলাম ডিক্রি, দলিল ও পর্চা সৃষ্টি করে অন্যের জমি আত্মসাতের মামলায় ব‌রিশালের বাকেরগঞ্জের দাড়িয়াল ইউনিয়ন প‌রিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হাওলাদারসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

গত বছরের ২২ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে তারা ৬ সপ্তাহের জামিন পান। মেয়াদ শেষ হলে বুধবার ওই আদালতে আত্মসমর্পণ করে তারা আবারও জামিনের আবেদন করেন। আদালত আবেদন প্রত্যাখ্যান করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বুধবার দুপুরে বরিশালের মুখ্য বিচারক আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মহিবুল হাসান তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম উপজেলার বামনীকাঠী এলাকার আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে।

কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন, দাড়িয়াল এলাকার আব্দুল মান্নান হাওলাদারের আরেক ছেলে আ. রশিদ হাওলাদার, আবুল হোসেন হাওলাদার, তহিদুল ইসলাম হাওলাদার ও সাহানুর বেগম।

আদালত সূত্র জানায়, একই এলাকার নরেন্দ্র নাথ পাল তার পৈত্রিক ওয়ারিশ থেকে পাওয়া ৬০২ শতাংশ জমি দখল করে ভোগ করছিলেন।

চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ওই জমি আত্মসাত করতে ২০১৫ সালে একটি জাল নিলাম ডিক্রি তৈরি করেন। ২০১৬ সালে ওই জাল ডিক্রি উপস্থাপন করে জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এতে নরেন্দ্র পাল বাধা দেন।

পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন নিলাম ডিক্রিটি জাল।

এ ছাড়া শহিদুল ইসলাম নিলাম ডিক্রি ব্যবহার করে জাল দলিল ও পর্চা সৃষ্টি করে নরেন্দ্র পালের ৩ একর ৫৩ শতাংশ জমি নিজ নামে মালিকানা করান।

বাকি জমি আত্মসাত করতে নরেন্দ্র পালের দুই ফুফু জয়া ও গীতা এবং হেমায়েত হোসেনের নাম ব্যবহার করে একটি সাব কবলা দলিল সৃষ্টি করেন। যা খুলনা জেলার সাতক্ষীরা সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে দলিল সম্পাদন দেখানো হয়।

এ ছাড়া জাল পর্চা সৃষ্টি করে ২০১৬ সালে ওই জমির রেকর্ড সংশোধন করার চেষ্টা করে ভূমি অফিস থেকে ব্যর্থ হয় আসামি পক্ষ। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন নরেন্দ্র পাল।

আদালত মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন পাঠাতে অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেয়।

গত বছর ১৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ পরিদর্শক মো. সেলিম ঘটনার সত্যতা ও আ. মোতালেব হাওলাদার মারা যাওয়ায় তার অব্যাহতি চেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ওই দিন আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করে। তারা আদালতে হাজির না হলে ১২ ডিসেম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এস এম মাহফুজ আলম তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

পরে তারা ২২ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ৬ সপ্তাহের জামিন পান। বুধবার জামিনের মেয়াদ শেষ হলে ওই আদালতে আত্মসমর্পণ করে তারা আবারও জামিনের আবেদন জানান।

আদালত তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

গত ১ ফেব্রুয়ারি একই মামলায় অভিযুক্ত জয়া রানী পাল ও গীতা রানী পাল আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যান। এ ছাড়া বামনীকাঠীর হেমায়েত হোসেন খোকন ও চেয়ারম্যানের বোন কহিনুর বেগম এখনও পলাতক রয়েছেন।

আদালতের ‌বেঞ্চ সহকা‌রী ই‌লিয়াস বা‌লি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও খবর

Sponsered content