Uncategorized

প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ খেয়ে আমার বাবাকে দুই ওসি মিলে খুন করেছে !

  প্রতিনিধি ৩১ মার্চ ২০২০ , ৯:০৯:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

 

আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রীর রুমে আসামীর লাশ উদ্ধােরের চাঞ্চল্যকর ঘটনার মূল কারন সামনে এনেছে নিহতের স্বজনরা। আজ (৩১ মার্চ) মঙ্গলবার সকালে বরগুনা প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে আসামীর কক্ষে পিটিয়ে শানু হাওলাদারকে খুন করেন দুই ওসি ও তার সহযোগীরা বলে দাবী করা হয়।

আর এই হত্যাকান্ডের নেপথ্যে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরােধ ও পূর্বের দুটি হত্যাকান্ডের রেশ জড়িত।

লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন নিহতের পুত্র নাসির উদ্দিন শাওন। তিনি দাবী করেন জানান, শানু হাওলাদারের বোনের সাথে চাচাদের জমি সংক্রান্ত পরিবারিক কলহ চলে আসছিল। তারই সূত্র ধরে ১৯৭৪ সালে তাদের দাদা হযরত আলী ও ২০০৩ সালে তাদের ফুপু আলেয়া বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেই দুটি মামলাও বর্তমানে তদন্তানাধীন। মামলা তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।

সম্প্রতি সেই চাচাদের সাথে বিরোধে জড়ায় শানু হাওলাদার। তার চাচারা আমতলী থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে পরিকল্পতিভাবে থানায় আটকে তার পিতাকে হত্যা করান।

নিহতের পুত্র বলেন, আমতলীর ওসি আবুল বাশার ২৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০ টায় শানু হাওলাদারকে বড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে। বাড়ি থেকে আনার সময়ই মারতে মারতে গাড়িতে তোলে।

থানায় নেয়ার পরে ৩ লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেন। দাবীকৃত টাকা না দিলে মেরে পঙ্গু করে দেওয়া হবে বলে আমাদের সবার সামনেই হুমকি দেন।

ওসি আবুল বাশার প্রকাশ্যে বলেন, যদি ঘুষ না দেই তাহলে সে আমার বাবকে খুন , ডাকাতি, মাদক, অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে।

ওসির ভয়ে আমরা ধার করে ১০ হাজার টাকা নিয়ে ওই রাতেই ওসি আবুল বাশারের কাছে দিয়া আসি।

কিন্তু তার চাহিদা ৩ লাখ টাকা না পাওয়ায় প্রথমে ওসি আবুল বাশারের কক্ষে, পরে ওসি তদন্ত মনোরঞ্জন মিস্ত্রীর কক্ষে নির্মম নির্যাতন করেন।

নির্যাতন করতে করতে আমার বাবার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। শেষে গল্প সাজানোর জন্য ওসি তদন্তের কক্ষে আমার বাবাকে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। আমার বাবাকে থানায় নেওয়ার দুইদিন অনেক চেষ্টা করেছি তার সাথে দেখা করেত। কিন্তু পুলিশ থানায়ই ঢুকতে দেয়নি।

তারা পরিকল্পিতভাবে আমার বাবাকে খুন করেছে। নাসির উদ্দিন শাওন দাবী করেন, আমাদের প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ খেয়ে আমার বাবাকে দুই ওসি মিলে খুন করেছে। যার প্রমান, যখন আব্বাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় তখন ডাক্তার জানিয়েছেন আমার আব্বার শরীরে নির্যাতনের অসংখ্য দাগ রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শানু হত্যার বিচার দাবী করেন নিহতের স্বজনরা।

আরও খবর

Sponsered content