অপরাধ

রাজাপুরে নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে রাজস্ব খাতের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ!

  প্রতিনিধি ২৫ জুলাই ২০১৯ , ৪:০০:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

রাজাপুর প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির রাজাপুরে রাজস্ব খাতের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু ইউসুফ সহ সংঘবদ্ধ একটি চক্র। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়ন পরিষদে স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময় এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেছে অথবা ডুপ্লিকেট কপি আছে তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৩৬০ টাকা ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং এর নামে ভুয়া কাগজ দিয়ে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। যাহার ফলে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাকি দিচ্ছেন সংঘবদ্ধ এই চক্রটি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিষদের দ্বিতীয় তলার একটি কন্যারের রুমে কোন রকমের ডিবাইস বিহীন গৌরনদী উপজেলার শুসান্ত শিকারীর ছেলে ও গৌরনদীতে অবস্থিত পার্থ কম্পিউটার সিস্টেম এর কর্মচারী সৌরভ শিকারী জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে যাওয়া অথবা ডুপ্লিকেট কপি যাহাদের আছে তাদের কাছ থেকে ব্যাংক অথবা মোবাইল ট্রেনজেকশন ছাড়াই নাম মাত্র একটি স্লিপের মাধ্যমে টাকা জমা নিচ্ছেন। তবে নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী, যাদের পরিচয়পত্র হারিয়ে গেছে তাদের চালান ফরমের মাধ্যমে নির্ধারিত কোডে ৩৪৫ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে ভেন্যু থেকে স্মার্ট কার্ড গ্রহন করতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউপিতে স্মার্ট কার্ড বিতরনের সময় নির্বাচন অফিসার প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এবং যদি এই চক্রটি বাকী সব ইউনিয়নে তাদের প্লান বাস্তবায়ন করতে পারেন তাহলে এই উপজেলা থেকে কয়েক লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিবেন।
ব্যাংকিং ছারা টাকা নেওয়ার বিষয়ে সৌরভ শিকারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি গ্রাহকদের সুবিধার্থে রেজিষ্টারে লিখে রাখি পরবর্তীতে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দিবো। এ বিষয়ে শুক্তাগড় ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক মৃধা জানান, আমি আগে শুনেছি হারিয়ে যাওয়া কার্ডের জনপ্রতি ৩৪৫ টাকা নেওয়ার কথা কিন্তু‘ এখন দেখি তারা ৩৬০ টাকা নিচ্ছেন। তবে তারা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন কিনা তা জানিনা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার জানান, “হারিয়ে যাওয়া কার্ডের জনপ্রতি ৩৪৫ টাকা এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের ভ্যাট বাবদ ১৫ টাকা নেওয়া হচ্ছে। টাকা নেওয়ার সময় এন্টি করতে দু একটা ভুল হতে পারে তবে আমরা গ্রাহকদের কাছ থেকে স্মার্ট কার্ড দেওয়ার সময় টাকা জমা দেওয়ার স্লিপ খানা রেখে দেই পরে আমরা মিলিয়ে নিবো। আর এতে রাজস্ব খাতের কোন টাকার হেরফের হবে না।”

আরও খবর

Sponsered content