ইলিয়াস শেখ কুয়াকাটা- প্রতিনিধি:- লম্বা লকডাউনে অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে হাজির হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা, তবে এই সৌন্দর্য দেখার পর্যটক নেই। হঠাৎ করে লম্বা লকডাউনে দুর্ভোগের মধ্যে দিন পার করতে হচ্ছে হাজারও পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
মহামারী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ পর্যটন শিল্প কুয়াকাটাকে নিস্তব্ধ করে দিয়েছে, বিপদের মুখে পড়তে হয়েছে, হোটেল ব্যবসায়ী, হোটেল কর্মচারী, রেস্টুরেন্ট কর্মচারী, মোটরবাইক চালক, ফটোগ্রাফার, দোকানপাটের কর্মচারীসহ, পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত থাকা সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
এমন অভিশপ্ত লকডাউনের কারণে, পর্যটন শিল্প বন্ধ থাকলে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা অমূল্য হীন হয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
সাথে সাথে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার টিকিয়ে রাখতে, সরকারের কাছে আবেদন করেছেন, নিয়ম কারণ মেনে পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
কিছু ফটোগ্রাফার আমাকে জানিয়েছেন, মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব এখন বিপদে রয়েছে, সরকার আমাদের রক্ষা করার জন্য নানা পরিকল্পনা নিচ্ছে, আমরা তার পরিকল্পনা কে সাধুবাদ জানাচ্ছি। তারপরও আমাদের বেঁচে থাকতে হলে লড়াই করেই বাঁচতে হবে, তাই নিয়ম কারণ মেনে পর্যটনশিল্প খুলে দেওয়ার আবেদন করছেন তারা। যদি অতি দ্রুত পর্যটনশিল্প খুলে দেওয়া না হয় ফটোগ্রাফারদের বেঁচে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।
মোটরবাইক চালক মো: ইব্রাহিম বলেন, পবিত্র রমজান মাস মুসলমানের জীবনে বড় একটি আনন্দের মাস পার করছি আমরা। কিছুদিন পরে মুসলমানের বড় একটি আনন্দের দিন, আসবে পবিত্র ঈদুল ফিতর, এই ঈদে ছেলে মেয়েদের হাতে একটি সুন্দর পোশাক তুলে দেবো সেই সাধ্য টুকু নেই, লকডাউন থাকার কারণে পর্যটক না আসায় এই অভিশপ্ত সময় পার করতে হচ্ছে আমাদের।
কিছু হোটেল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হয়েছে, তারা জানিয়েছে, প্রতিবছর রমজান মাসের প্রথম থেকেই হোটেল বুকিং দেওয়া শুরু করি, ঈদের জন্য। কিন্তু পরপর দু’বছর যাবত আমরা লাভতো দূরের কথা লোকসান গুনতে গুনতে দিন পার করছি, এ বছর যদি সত্যি ঈদে পর্যটন শিল্প বন্ধ থাকে তাহলে আবাসিক হোটেল টিকিয়ে রাখতে দায় হয়ে যাবে।
স্থানীয়দের দাবি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন শিল্প কুয়াকাটা সহ, সকল পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে, তারা আরও জানিয়েছেন শপিংমহ এবং গণপরিবহন চলাচলের নিয়ম করা হয়েছে, আমাদের দাবি অতি দ্রুত পর্যটন শিল্প খুলে দেয়া হবে এমন বুক ভরা আশা নিয়ে অপেক্ষার দিন গুনছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।