প্রতিনিধি ২৩ মে ২০২১ , ১০:১৮:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
শামীম ওসমান হীরাঃ- কলাপাড়া উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে চলেছে পাম্পের মাধ্যমে ড্রেজিং বালু উওোলন। আইন ২০১০ বালু মহল ও মাটি ব্যবস্হাপনা এর ধারা ৫ এর ১ উপধারা অনুযায়ী পাম্প ও ড্রেজিং বা অন্য কোন মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও। আইন অমান্যকারী দুই বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আইন ভঙ্গকারী যে হোক আইনের প্রয়োগ করা বাস্তবে রূপ নেওয়া উচিৎ।কলাপাড়া উপজেলা সহ পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা পৌরসভা ও বালিয়াতলী আশেপাশে এলাকার ফসলি জমিতে চলছে বালু উত্তোলন। হাজার হাজার একর একর ফসলি জমিসহ অনেক পরিবারের বসত ভিটা আজ ভূমিধ্বসের সম্মুখীন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রায় ১০-১২ টি বালু উত্তালনের যন্ত্র ব্যবহার করে ফসলি জমি থেকে বলু উত্তালন করে বিক্রি করা হচ্ছে। আর এই বালু উত্তালনের নেপথ্যে আছে একটি প্রভাবশালী মহাল খতিয়ে দেখা যায় । প্রচালিত আইনকে অমান্য করে নিজ ফসলি জমিতে একাধিক বালু উওালনে ধংসের মুখে শত একর ফসলি জমিসহ বেড়িবাঁধ। পুকুর ও ফসলি জমি থেকে বালু উত্তালন করে বিক্রি করছে স্থানীয় ঠিকাদার ও প্রভাব শালী মহল। অনেক ড্রেজার মালিকের সাথে কথা বলে জানা যায় কথোপকথনে তারা সাংবাদিক কে জানিয়ে দেয় উপর মহল থেকে তাদেরকে বালু কাটার অনুমতি দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য হলো দিনের বেলায় বালু কাটা যাবে না আমাদেরকে অভিযোগ করলে আপনাদের সমস্যা হবে লুকিয়ে রাতের অন্ধকারে আপনারা যা করেন। রাতের বেলায় আমরা কোন পদক্ষেপে আসিনা তাই রাতের অন্ধকারে আপনারা বালু কাটতে পারেন। কুয়াকাটা পৌরসভা ও পার্শ্ববর্তী লতাচাপলী , বালিয়াতলী ইউনিয়নে, ফসলি জমি ও পুকুর থেকে ড্রেজিং পদ্ধতিতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কার্যক্রম চলমান অবস্থায়। কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি শ্রী জগৎবন্ধু মন্ডল এর নেতৃত্বে, গত ৫ ই মে বুধবার দুপুর আনুমানিক ১ টার দিকে এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। জানা যায় এই সময় মুসুল্লিবাদ এলাকার ড্রেজার মালিক,রনি মুসুল্লি সহ-২ জনকে মোট এক লক্ষ পঁচিশ হাজার ১,২৫০০০ টাকা জরিমানা ও দুইটি ড্রেজার মেশিনের সরঞ্জাম ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত নগদ অর্থ দন্ডিত করা হয়। এই সময়, (ভূমি) শ্রী জগৎবন্ধু মন্ডল জানান, বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি এই ধরনের ব্যবসার সাথে জড়িতদের সতর্ক করে বলেন আগামীতে অবৈধ বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আইনের তোয়াক্কা না করে অবিরাম ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে ড্রেজিং। বাস্তবেই সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই বালু ও মাটি তোলা বন্ধে খুব দ্রুত দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন বলে আশাবাদী।