প্রতিনিধি ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ , ১:০৯:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজাপুর প্রতিনিধিঃ
আমরা ভূমি দস্যু ও চাঁদাবাজ নই। মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ পরিবারের লোক হওয়ায় স্বাধীনতার দোসর ও জামায়াত-বিএনপি ঘেষা কয়েকজন লোক আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। নিজস্ব কয়েকজন লোক দিয়ে মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদ সম্মেলন করে হয়রানির স্বীকার ৩৬ পরিবারকে দেখানো হয়েছে। যারা সবাই একটি সিন্ডিকেটের লোক। ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসান হাবিব রুবেল ও তার বাবা অসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ তোফাজ্জেল হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জমি দখলের মিথ্যা অপবাদে হয়রানীর এসব অভিযোগ করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা সদরের সরকারি কলেজ রোড এলাকায় নিজ বাড়ির অঙ্গিনায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন আহসান হাবিব রুবেলের পিতা মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন। এ সময় তোফাজ্জেল হোসেনের বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা বিডিআর’র অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ হাতেম আলী, স্থা,নীয় সমাজ সেবক রুস্তম আলী ও রুবেলের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম রাজু উপস্থি’ত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তোফাজ্জেল হোসেন অভিযোগ করেন, তারা একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। তার বড় দুই ভাই সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন। তিনি তাদের সহযোগী ছিলেন। স্বাধীনতার পক্ষের লোক হওয়ায় ২০০৬ সালে বিএনপির সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যার চেস্টা করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৩০/৩৫ টি জখমের চিহ্ন নিয়ে এখন প্রতিবন্ধীর মত জীবন কাটাচ্ছেন। তিনি দাবী করেন তার ছেলে আহসান হাবিব রুবেল রাজাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় রাজাপুর আওয়ামী লীগের গুটি কয়েকলোক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা দাবিদার মনিরুজ্জামান মনিরের নির্দেশে রুবেলকে বিতর্কিত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার রাজাপুরে মুক্তিযোদ্ধা মিলন কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলন করে আহসান হাবিব রুবেলের বিরুদ্ধে চাদাঁবাজি ও জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগে আনা হয়। ওই সংবাদ সম্মেলনে আদৌ ৩৬ পরিবারের লোকজন উপস্থি’ত ছিলেন না । গুটি কয়েক যারা উপস্থি’ত ছিলেন তারা সবাই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনিরের নিকটাত্মীয়। মনিরুজ্জামান মনিরের শ্যালক মাওলাদুর রহমানের সাথে তোফাজ্জেল হোসেনের জমিজমা নিয়ে দেওয়ানী মামলা নং ৩২/১৫ ঝালকাঠির রাজাপুর সহকারী জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ওই মামলায় পরাজয়ের আশংকায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে বলে দাবী করা হয়। এ ছাড়াও অভিযোগ করা হয় রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন নেতার নেতৃত্বে বিভক্ত হওয়ায় মনিরুজ্জামান মনির ছাত্রলীগ সভাপতি আহসান হাবিব রুবেলকে তার গ্রুপে নিতে ব্যার্থ হয়ে এখন রুবেলেকে বিতর্কিত করে ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে অপসারণের যড়যন্ত্র করছেন। উল্লেখ্য, মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন ও তার পুত্র উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসান হাবীব রুবেল’র বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মামলা ও জমি দখলের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার রাজাপুরে ৩৬ পরিবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। এর প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন।
কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনির জানান, মঙ্গলবারে রাজাপুরের ৩৬টি পরিবার একত্রিত হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। যারা তোফাজ্জেল হোসেন ও তার পুত্র রুবেল দ্বারা বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। বুধবার সকালে পত্রিকার মাধ্যমে তা আমি জেনেছি। কিন্তু‘ সেখানে আমার পরিবার বা দলের কোন লোক উপস্থি’ত ছিলো না। সেখানে আমার পরিবারকে অযথা হয়রানি করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এরকারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমার ছোট ভাই রুবেলকে হত্যা চেষ্টা করছিলো আহসান হাবীব রুবেল। সেই মামলা এখনও চলমান। তা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং জনসাধারনের দৃষ্টি ঘোরাতে তিনি এমন কাল্পনিক কাহিনী বলেছেন। তারা নব্য আওয়ামীলীগ হিসেবে ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে এমন অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করছে।