প্রতিনিধি ২২ আগস্ট ২০২০ , ৬:২১:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি।।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের রাজাকার মরহুম আব্দুল লতিফ ছিলেন একজন চিহৃিত রাজাকারদ। ১৯৭১ সালে হত্যা, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন তার পিতা মরহুম আব্দুল লতিফ। দেশ স্বাধীনের পূর্বে তারই সহযোগিতায় পাকিস্তানি আর্মিরা ধর্ষণ করে মা-বোনদের, প্রাণ হারায় এ দেশের স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধারা। ঘরবাড়ি জ্বালাও-পোড়াও, ধন-সম্পদ লুটের নির্দেশ ছিল রাজাকার মরহুম আব্দুল লতিফের। স্বাধীন দেশে রাজাকারের উত্তরসূরী তথা তাদের সন্তানদের সরকারী কোন চাকরি পাওয়ার কথা নয়।কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল উল্টো চিত্র। রাজাকার পুত্র হাসান জাহাঙ্গীর বর্তমানে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের একজন অডিটর। এর আগে তিনি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা হিসাব রক্ষন অফিসের অডিটর ছিলেন। ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে তাকে নিজ উপজেলা বাকেরগঞ্জ থেকে নলছিটিতে শাস্তিমুলক বদলি করা হয়। একাধিক ভুক্তভোগী জানান, ঘরছাড়া হাসান জাহাঙ্গীর কোন ফাইল ধরেন না। এমনকি নতুন কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী বদলি হয়ে আসলে তাদের বেতন-ভাতা ও নাম রেজিস্ট্রেশনের জন্য মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন। তার দাবীকৃত ঘুষের টাকা না দিলে বেতন-ভাতা করানোর জন্য মাসের-পর-মাস ঘুরতে হয় তার পিছনে। কেউ তার অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করলে তার অনেক ক্ষমতা রয়েছে বলে ভয়-ভীতি দেখিয়ে হুমকি দেয়া হয়৷ দুর্নীতিবাজ হাসান জাহাঙ্গীরের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন তারই আপন চাচাতো ভাই কথিত মানবাধিকার নেতা পরিচয়দানকারী রেজা কবির। তাকে দিয়ে নানাভাবে শিক্ষক ও নিরীহ মানুষদের হয়রানি করা হয়। কথিত মানবাধিকার নেতা পরিচয়দানকারী রেজা কবির হলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টাকারী কারাগারে থাকা ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফ্রিডম পার্টির নেতা গাজী ইমাম হোসেন ওরফে ফ্রিডম ইমামের আপন ভাগ্নি জামাই। বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, বাকেরগঞ্জ থানাসহ বিভিন্ন থানায় কথিত মানবাধিকার নেতা পরিচয়দানকারী রেজা কবিরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও প্রতারণাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বাকেরগঞ্জের অনেক ভুক্তভোগী দুর্নীতিবাজ হাসান জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগী রেজা কবিরের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়েও বিচার পায়নি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।