প্রতিনিধি ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ , ২:২৯:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ
গৌরনদী প্রতিনিধি
ধর্ষণ মামলা থেকে রেহাই পেতে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রীকে (২২) বিয়ে করেছে গৌরনদী উপজেলার পূর্বহোসনাবাদ গ্রামের লম্পট এনামুল হক বেপারী (৩২)। সামাজিক স্বীকৃতি পেতে শুক্রবার দুপুর থেকে স্বামীর বাড়িতে অনশন শুরু করেছে ওই কলেজ ছাত্রী। স্বীকৃতির দাবিতে বাড়িতে অবস্থান করার সময় এনামুল হক বেপারী স্বজনরা কলেজ ছাত্রীকে অকথ্য ভাসায় গালগালসহ নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনামুল হক বেপারী ওই গ্রামের আঃ ছালাম বেপারীর কনিষ্ট পুত্র। পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন।
নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রী অভিযোগ করে বলে, ২০১৪ সালে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ঢাকায় বসেএনামুল হক বেপারী সাথে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে প্রেম বিনিময়। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এনামুল আমাকে একাধিক বার ধর্ষণ করে। ধর্ষনের কারণে গত ফ্রেরুয়ারিতে আমি অন্তসত্ত্বা হয়ে পরি। এর পরে এনামুলকে বিয়ের কথা বললে নানা তাল বাহানা করে। ওই বছর এপ্রিল মাসে আমি অসুস্থ হয়ে পরলে কৌশলে অন্য ওষধের সাথে বাচ্ছা নষ্ট করার ওষধ সেবন করায়। পরবর্তীতে আমার গর্ভের বাচ্ছা নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি কোন উপায়অন্ত না দেখে গত ২১ মে ঢাকা জজ কোটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (ধর্ষণ) করি। এ মামলায় এনামুল আদালতে হাজির হলে তাকে জামিন না মুঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন করে। মামলা থেকে রেহাই পেতে এনামুল গত ৭ আগষ্ট ৫ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য করে আমাকে বিবাহ করে জামিনে মুক্তি পায়। জেল থেকে বের হয়ে এনামুল ও তার লোকজন আমাকে হত্যাসহ নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আমার সাথে সম্পূর্ন যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। সামাজিক স্বীকৃতির দাবিতে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রী এনামুলের বাড়িতে যাওয়ার খবর পেলে বাড়ির লোকজন বসত ঘরে তালাবদ্ধ করে সটকে পরে। পরবর্তীতে এনামুলের স্বজনরা সংবাদকর্মী ও স্থা’নীয়দের উপস্হিতিতে কলেজ ছাত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালগাল করে। বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে নানা ধরনের হুমকি প্রদান করেন।
অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত এনামুল হক বেপারী মুঠো ফোনে (০১৮১২০২১০১০) একাধিকবার ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সরিকল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক অলিউল ইসলাম এ প্রসঙ্গ বলেন, কলেজ ছাত্রীর অনশনের খবর পেয়ে তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আলী হোসেনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। কলেজ ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।