Uncategorized

আশকারায় বেপরোয়া করোনা!

  প্রতিনিধি ২৭ জুন ২০২০ , ৩:১০:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

{"effects_tried":0,"photos_added":0,"origin":"gallery","total_effects_actions":0,"remix_data":["add_photo_directory"],"tools_used":{"tilt_shift":0,"resize":0,"adjust":0,"curves":0,"motion":0,"perspective":0,"clone":0,"crop":1,"enhance":0,"selection":0,"free_crop":0,"flip_rotate":0,"shape_crop":0,"stretch":0},"total_draw_actions":0,"total_editor_actions":{"border":0,"frame":0,"mask":0,"lensflare":0,"clipart":0,"text":0,"square_fit":0,"shape_mask":0,"callout":0},"source_sid":"06336ABB-AD1D-4C78-9624-9E7364B13AE9_1593260231644","total_editor_time":434,"total_draw_time":0,"effects_applied":0,"uid":"06336ABB-AD1D-4C78-9624-9E7364B13AE9_1593260231608","total_effects_time":0,"brushes_used":0,"height":1996,"layers_used":0,"width":3403,"subsource":"done_button"}

রকিব উদ্দিন পিয়াল ॥

আশকারায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাস। অসচেতনতার পরিক্রমায় দিন দিন বে-সামাল দাপট ছড়াচ্ছে অদৃশ্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি, জনসচেতনতামূলক অব্যহত প্রচারনায় সাধারণ মানুষের মাঝে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ভীতি কাজ করলেও স্বাস্থ্য নিয়মবিধি সঠিক উপায়ে পালন হচ্ছে না। যার পরিপেক্ষিতে ভয়াবহতার মাশুল দিয়ে প্রতিনিয়ত তীব্র মাত্রার হিসেব কষে যাচ্ছেন জণসাধারণ। ভাইরাস শনাক্তের হার যখন ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখনও নিরাপদে ঘরে থাকার বিষয়টি উদাসীনতায় রূপ দিয়ে করোনা কে আরো শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড় করাচ্ছেন সমাজের অসচেতন একটি অংশ। বলাবাহুল্য যে, পেটের তাগিদকে কারণ দেখিয়ে অনেকেই আবার এই বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে যাচ্ছে সচেতনতার অভাবে। বাহিরে কি কাজ, বের হও কেন? এমন প্রশ্নের উত্তর যেন অনেকটা অদম্য সাহসীকতার পরিচয় দিয়েই প্রকাশ করা হচ্ছে এমনভাবে- “বেশী দূরে যাই না, এইতো রাস্তার মাথায় একটু ঘোরা দিয়ে আসি। এতো মানুষ রাস্তায় ঘোরে তাদের কিছু হয়না, করোনা শুধু আমারেই ধরবে।” আমারা বাঙ্গালী জাতি হিসেবে বরাবরই কিছুটা আবেগপ্রবণ, যে কোন পরিস্থিতিতে আবেগকে প্রাধান্য দিয়ে বে-খেয়ালী মনোভাব আমাদের মাঝে তড়িৎ গতিতে কাজ করে। আর যার পরিপেক্ষিতে বর্তমান করোনার সংকট-সংক্রমণের এই বিস্তার কে রোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। করোনা রূপ নিচ্ছে আরো অনেক বেশী ভয়াবহতার। বর্তমানে বাংলাদেশে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা লাখের ঘর অতিক্রম করেছে। প্রতিনিয়তই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে লাগামহীন ভাবে। সরকারি সকল নিয়ম-নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রশাসনিক দপ্তরগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কর্মচারীরা তাদের মানষিক ও শারীরিক কর্মদক্ষতার জায়গায় নিরলস পরিশ্রম করেও আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন না। আক্রান্তের হিসেব পর্যালোচনায় বরিশাল এখন টাইমলাইনের লাল রেখায় অবস্থান। প্রতিনিয়ত বিভাগের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি মহানগরীতে আক্রান্ত রোগী সনাক্তের হার বেড়েই চলেছে, শুধু শনাক্তই নয়, বিভাগের ছয় জেলার মধ্যে বরিশাল জেলায় করোনা উপসর্গ ও করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি। এরপর যেন থেমে নেই জনসমাগম। বরিশাল নগরীর প্রায় সব এলাকাগুলোতে অনেকটা অসচেতনতায় অবাধ চলাফেরা করছে সাধারণ জনগণ। বরিশাল জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত মনিটরিং ও বিভিন্ন সময়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের জরিমানা করলেও স্বাস্থ্যবিধি পালনের কোন সঠিক পন্থা ব্যবহার করছে না নগরবাসী। সার্বিক পরিস্থিতিতে মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে শরীর ছাড়া মনোভাবের সীমাবদ্ধতায় রয়েছেন তারা। আবার এই মাস্ক সঠিক নিয়মে ব্যবহারের বিষয়ে সচেতনতার অভাবে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির জায়গায় নিজেকে দাড় করিয়ে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারনা, প্রশাসনের অব্যহত মনিটরিং ব্যবস্থায় শহরের বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম কিছুটা কম লক্ষ্য করা গেলেও সাধারণ মানুষের মাঝে এর প্রতিক্রিয়ার আবারও ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভাইরাসটি দ্রুততম সময়ে ছড়িয়ে যাবার মুখ্য একটি কারন হিসেবে সামাজিক দুরত্ব বজায় না থাকার বিষয়টি প্রাধান্য পেলেও বর্তমানে এই অবাধ চলাফেরা করোনার দাপট কে আরো ভয়াবহতার জায়গা দাড় করাবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সচেতনরা। এমনই অবস্থা চলতে থাকলে সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বর্তমানের থেকেও আরো বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে চলে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। এদিকে জনসাধারণ কে উদ্দেশ্য করে করোনা সুরক্ষার অংশ হিসেবে নিজ সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কোন ধরনের সমাগম না করা ও স্বাস্থ্যবিধি সঠিক নিয়মে পালনের বিষয়ে আবারো জোড় দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশ্লেষকরা। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডাঃ শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল দৈনিক আজকের তালাশকে জানান,‘প্রথম যে আমরা যে স্বাস্থ্যবিধি দিয়েছিলাম সেগুলো যদি বরিশালবাসী সঠিকভাবে মেনে চলতো তাহলে আজ এই অবস্থা হতো না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখনও সময় আছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে চললে করোনা এই প্রকোপকে নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা সক্ষম হবো।’

আরও খবর

Sponsered content