দেশজুড়ে

ঝালকাঠির কারো ড্রেজার-ই বৈধ নয়!

  প্রতিনিধি ২৯ নভেম্বর ২০২২ , ২:৪৮:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

তালাশ প্রতিনিধি ॥  ঝালকাঠির লেশপ্রতাপ বারৈইগাতির মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বারেক হাওলাদারের বাড়ির সামনে সুতালরি খালের উপরে এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করে ৫ গ্রামের প্রায় অর্ধ লক্ষ্য মানুষ। কিন্ত স্থানিয় কিছু অবৈধ ড্রেজার ব্যাবসাইরা বারবার এই সাঁকোটি ভাঙ্গার কারনে চরম দুর্ভোগে পড়ে স্থানীয়রা ।

কয়েক যুগ আগে নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন এলাকার জনগণ যাতায়াত করে আসছেন। সাধারণ জনগণ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতে বাঁধা সৃষ্টি করে জখন সাঁকোটি ভেঙ্গে জায়।

অভিযোগ রয়েছে কয়েকদিন আগে আবুজার নামে এক ড্রেজারের ধাক্কায় আবার ভেঁঙ্গে যায় সাঁকোটি। এমনি তথ্যের ভিত্তিতে কথা হয় স্থানিয়দের সাথে। ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জামাল ফকির বলেন, এই সাকো একমাত্র ভাঙ্গে অবৈধ ড্রেজারের কারনে। আর এবার জে ভেঙ্গে গেছে তা অই আবুজার নামের ড্রেজারের ধাক্কায়। শুনছি এই ড্রেজার মজিবর হাওলাদারের।

জানা যায় এই মজিবর হাওলাদার বাসন্ডা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণকাঠি গ্রামের আবেদ আলী হাং এর ছেলে। শামছুল আলম সরদার বলেন, সাঁকো ভাঙ্গায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকার সবাই সাতরে পারাপার হয়ে থাকে। কেউ অসুস্থ হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। এলাকার অসুস্থ রোগীদের পল্লী চিকিৎসকরাই একমাত্র ভরসা। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী জনপ্রতিনিধিদের কাছে সাঁকো নির্মান করার দাবি জানালেও শুধু আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি।

মজিবর হাওলাদারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, রাতের আঁধারে কে ভাঙছে আমি জানিনা। তারপরো ১০ টি বাঁশ কিনে দিছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা জদি বৈধতা খোঁজেন তবে ঝালকাঠির কারো ড্রেজার-ই বৈধ নয় ।

 

অপরদিকে ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ বাচ্চু বলেন, বার নয় বারবার মজিবর হাং ভাংছে কিন্তু পূর্ন নির্মান করছেনা।

আরও খবর

Sponsered content