Uncategorized

বাকেরগঞ্জে এ.এস.টি অবৈধ ইটভাটা গিলছে ফসলি জমি দূষিত করছে পরিবেশ

  প্রতিনিধি ২ জানুয়ারি ২০২১ , ৫:৩৪:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

তালাশ প্রতিবেদন-➤

বাকেরগঞ্জে প্রায় অর্ধ শতাধিক অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। এসব ভাটার মধ্যে মেসার্স এ.এস.টি ব্রিকস অন্যতম। কোন নিয়মনীতির তোকায়াকা না করে ভাটা মালিকের নিজের খামখেয়ালীভাবে ইটভাটা চালানোর ফলে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাটায় কয়লার বদলে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। আর ইট তৈরির মৌসুমকে ঘিরে ভাটায় মজুদ করা হয়েছে বিশাল আকারের মাটির স্তুপ। ইতোমধ্যে ভাটায় ইট পোড়ানোর লক্ষ্যে আগুন দেওয়া হয়েছে। বিধি অনুযায়ী অটোভাটা করার কথা থাকলেও মেসার্স এ.এস.টি ব্রিকস অবৈধ ড্রাম চিমনির ভাটা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত ১৯৯২ সালের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে ‘কৃষি-জমিতে ইটভাটা নির্মাণ দন্ডনীয় অপরাধ’। কিন্তু মেসার্স এ.এস.টি ব্রিকসের মালিক মো. সজিব মোল্লা তা মানছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেসার্স এ.এস.টি ব্রিকসের মালিক মো. সজিব মোল্লা ভাটায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে বিশাল মজুদ করেছে। কোথাও কয়লা চোখে পড়েনি। কেবল গাছপালা ও বাঁশের মোথা দিয়েই ইট পোড়ানো হচ্ছে। ভাটা মালিক মো. সজিব মোল্লা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় মানছেন না কোন আইনকানুন। দেদারছে কাঠ পোড়ানোর কারণে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ।

ভাটাসংলগ্ন এলাকার কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যেভাবে কাঠের কালো ধোঁয়া হচ্ছে, তাতে স্বাস্থ্যহানি এবং পরিবেশ বিঘিœত হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো বন্ধের দাবি জানাই।

এ ব্যাপারে ভাটা মালিক মো. সজিব মোল্লা বলেন, আমি সকল সরকারী দপ্তর ম্যানেজ করেই ভাটায় ইট পোড়াই। কে কি বলল, আর কার কি হলো তা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, জমির ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি মাটিতে বেশি পুষ্টি থাকে। যা ফসল উৎপাদনে খুবই সহায়ক। কৃষকদের অস্বচ্ছলতার সুযোগে ভাটা মালিক মো. সজিব মোল্লা জমির মালিকদের উদ্বুদ্ধ করে ইট তৈরির জন্য কৃষি জমির টপ সয়েল কিনছেন। ভাটায় প্রতিবছর টপ সয়েল ব্যবহার করায় জমির পুষ্টিগুণ ও উৎপাদন শক্তি দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। আর কৃষকরা জমিতে সারের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এভাবে টপ সয়েল তুলে নেওয়া অব্যাহত থাকলে ভতিষ্যতে জমিগুলো পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবী রায় বলেন, ‘ইতোমধ্যে ভাটা মালিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন ভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ-খড়ি ব্যবহার না করেন। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও খবর

Sponsered content