অপরাধ

বাবুগঞ্জে প্রতিবাদ জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিবৃতি

  প্রতিনিধি ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৬:০৩:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের হত্যা মামলার আসামীকে বাঁচাতে কৌশলে নানা কর্মসূচী পালন করছে একটি মহল। তারই ধারাবাহিকতায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ব্যানারে শনিবার ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা আখ্যা দিয়ে নির্যাতনের প্রতিবাদে একটি মানববন্ধন ও সমাবেশ করে ওই মহলটি। ওই মানববন্ধন ও সমাবেশ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মানহানীকর ও অপমানজনক বলে একটি লিখিত বিবৃতি দিয়েছে বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।

বিবৃতিতে ওই মানববন্ধনের আয়োজকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানানো হয়। বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদ্য সাবেক কমান্ডার আনিসুর রহমান সিকদার, সদ্য সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল করিম হাওলাদার ও জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এইচ এম মিজানুর রহমানের সাক্ষরিত বিবৃতিটি হুবহু তুলে ধরা হলো- “বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইনের মাধ্যমে পরিলক্ষিত হয়েছে ১৮ সেপ্টম্বর ২০২১ ইং তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ব্যানারে বাবুগঞ্জের ১নং বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গী নগর ইউনিয়নের ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা মজিদ সরদারকে নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আসলে বাবুগঞ্জ উপজেলায় কিংবা ১নং জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে মজিদ সরদার নামে কোন মুক্তিযোদ্ধা নেই।

মজিদ সরদার মূলত বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম খালেদ হোসেন স্বপনের পিতার হত্যাকারী। গত ৫সেপ্টেম্বও রাতে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য এস এম তারিকুল ইসলাম তারিককে হত্যা চেষ্টার প্রস্তুতিকালে মাজিদ সরদার ও আজাহার হোসেন ওরফে মনু হাওলাদারকে স্থানীয় জনতা ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। তাদের বাঁচাতে বিএনপি ও জামাতের একটি মহল মজিদ সরদারকে মুক্তিযোদ্ধা সাজিয়ে স্বার্থ হাচিলের জন্য বিভিন্ন সমাবেশ করে আসেছে।

১৮ সেপ্টেম্বর বিএনপি জামাতের একটি মহল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ব্যানার ব্যবহার করে জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করে। যাতে বাবুগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কেউ অংশগ্রহণ করেনি। আমরা মনে করি একজন হত্যাকারীকে মুক্তিযোদ্ধা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ব্যানার ব্যবহার করে প্রতিবাদ সমাবেশ করা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মানহানীকর ও অপমানজনক। আমরা উক্ত কর্মসূচীর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই এবং উক্ত কর্মসূচী আয়োজকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করছি”।

আরও খবর

Sponsered content