Uncategorized

মাহামুদিয়া মাদ্রাসার শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ছাত্র আহতঃ সংবাদ প্রকাশ না করতে মামলার হুমকী

  প্রতিনিধি ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১০:০৪:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নগরীর বেলতলা মাহামুদিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের এক পাষণ্ড শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ক্ষতবিক্ষত শিক্ষার্থী তাহমিদ(১২)।

তাহমিদ যখন তার অসুস্থ মায়ের ফোন পেয়ে কথা বলছিল, ঠিক ওই মুহূর্তে জামেয়া ইসলামিয়া মাহামুদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুবের ছেলে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আতিকুর রহমানের অতর্কিত বেত্রাঘাতে গুরুতর আহত হয় তাহমিদ।

এ ঘটনা নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা গেছে গতকাল সকাল সারে ৯ টায় হেফজ বিভাগের বড় হুজুরের মোবাইলে ছাএ তাহমিদের অসুস্থ মা ঢাকা থেকে ফোন করে তার সন্তান তাহমিদের সাথে কথা বলবেন বলে হুজুরকে অনুরোধ করেন। এতে হেফজ বিভাগের বড় হুজুর হাফেজ মাওঃ নাছিম আহম্মেদ দশমিনার ছাএ তাহমিদ (১২) কে মোবাইল ফোনে কথা বলার অনুমতি দেন।

তাহমিদ মাদ্রাসার বারান্দায় দাড়িয়ে কথা বলে ফেরার সময় হাফেজ আতিকুর রহমান তাহমিদকে অতর্কিত বেত্রাঘাত করে। যাতে কিশোর তাহমিদ গুরুতর আহত হয়। তাহমিদকে হেফজ বিভাগের শিক্ষকরা মাদ্রাসায় রেখেই চিকিৎসা প্রদান করছে।

এ বিষয়ে হাফেজ আতিকুর রহমান প্রতিবেদককে জানান, তাহমিদ মাদ্রাসার আইন অমান্য করেছে এ জন্য তাকে ২টা পিটান দেয়া হয়েছে। তবে তাতে আঘাতের চিহ্ন হওয়ার কথানা।ওই ছাএ আঘাতের চিহ্ন তৈরি করতে পারে ।

হাফেজ আতিকুর রহমান সাক্ষাত কারের এক পর্যায়ে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে তার ব্যবহৃত ০১৭০৭৮০৩…… সেলফোন থেকে প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকী দেয়

এদিকে হেফজ বিভাগের বড় হুজুর হাফেজ নাছিম আহম্মেদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন আমার অনুমতি নিয়ে তাহমিদ মোবাইলে বাহিরে কথা বলতে যায়।

তাহমিদ আমার অধিনেই পড়াশুনা করে। তিনি বেত্রাঘাতের বিষয়টি দুঃখজনক বলেও সংবাদ কর্মীদের জানান।

আরও খবর

Sponsered content