Uncategorized

শেবাচিমে চার সাংবাদিক লাঞ্ছিত – সার্জিক্যাল ব্লেড নিয়ে ধাওয়া!

  প্রতিনিধি ১৩ এপ্রিল ২০২১ , ৫:১৮:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মাথা ঠিক ছিল না – ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন

তালাশ প্রতিবেদক :- বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার চিত্র ধারণ করতে গিয়ে ৪ সাংবাদিক লাঞ্ছিত হয়েছেন। এ সময় তাদের ক্যামেরা আটকে রাখা হয়।

লাঞ্ছিতদের অভিযোগ, হাসপাতাল পরিচালকের নির্দেশে এ ঘটনা ঘটেছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সংবাদ সংগ্রহকালে লাঞ্ছিত হন যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন আনিসুর রহমান। তাকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে এটিএন বাংলার ক্যামেরাপারসন আলাউদ্দিন এবং মোহনা টিভির ক্যামেরাপারসন সুজনকে ধাওয়া করা হয়।

যমুনা টিভির ক্যামেরাপারসন আনিসুর রহমান বলেন, করোনা ইউনিটে রোগীদের নানা ভোগান্তিসহ চিকিৎসক-নার্সদের যে সমস্যা তা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরির জন্য যমুনা টিভির বরিশাল ব্যুরো প্রধান কাওছার হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে করোনা ইউনিটে যাই। নিচতলা এবং দোতলার ভিডিও করা শেষে তৃতীয় তলায় কাজ করার সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক এ এইচ এম আতাউল্লাহ ভিডিও করতে বারণ করলে ভিডিও ধারণ বন্ধ রাখা হয়। এরপর তিনি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান শাহীনকে বিষয়টি জানালে যমুনা টিভির ক্যামেরা আটকে রাখতে বলেন। এরপর আমাকে লাঞ্ছিত করা হয়। একপর্যায়ে আমার ক্যামেরা রেখে দেন ডা. আতাউল্লাহ।

এটিএন বাংলার ক্যামেরাপারসন আলাউদ্দিন বলেন, আনিসুর রহমানকে লাঞ্ছিত করার খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে গেলে ওই চিকিৎসক করোনা ইউনিটের নিচে এসে আমাকেসহ আরও কয়েকজন সহকর্মীকে মারধরের জন্য ধাওয়া করেন।

যমুনা টিভির বরিশাল ব্যুরো প্রধান কাওছার হোসেন বলেন, করোনা ইউনিটে মূলত আমরা শুধু রোগীদের নয়; চিকিৎসক এবং নার্সদের যে ভোগান্তি হচ্ছে, সেই সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন করতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করেই ওই চিকিৎসক ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন। সার্জিক্যাল ব্লেড নিয়ে ধাওয়া করেন ।আমি শুনেছি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান শাহীন ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ক্যামেরা আটকে রাখতে বলেন। ক্যামেরা ও বুম ফেরত পেয়েছি। তবে ক্যামেরার সঙ্গে থাকা মেমোরি কার্ড খোয়া গেছে। হাসপাতালের পরিচালক আশ্বাস দিয়েছেন সেটি ফিরিয়ে দেবেন।

জানা গেছে, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগীদের ভোগান্তির চিত্র সংবলিত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম কড়া ভাষায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেন। এতে গণমাধ্যমের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান শাহীন।

এ বিষয়ে ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন বলেন, বিষয়টি ভুলবশত হয়েছে। আমি সবার পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়েছি। নানা চিন্তায় মাথা ঠিক ছিল না।

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকে ঘটনাটি ঘটেছে।

আরও খবর

Sponsered content