বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় সরকারি কৃষিকর্মতার আওতায় চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের গোবিন্দ বাড়ৈ, পিতা :গৌরাঙ্গলাল বাড়ৈ এর বিরুদ্ধে এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবক ও মহিলাদের কাছ থেকে সরকারি কৃষি কর্মকর্তার আওতায় ৫ বছর মেয়াদি সরকারি প্রোজেক্টের চাকরি দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই গ্রামের এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন গোবিন্দ বাড়ৈ কিছু দিন ধরে একটি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আসছিল। আমি তার প্রলোভনে পরে চাকরি করতে রাজি হই।
পরে আমাকে চাকরির পাওয়ার জন্য ২০০০০টাকা দিতে হবে বলে জানায়। তপরে কাগজ পত্র জমা নেওয়ার সময় ১০০০০ টাকা দেই। পরে আবার ফোন করে ৩০০০টাকা চায় তখন আমি ধান বিক্রি করে সেই ৩০০০ টাকা দেই। মোট ১৩০০০ টাকা দেই। পরে আমি কৃষি অফিসে খবর নিয়ে যানতে পারি এই ধরনের কোন নিয়োগ তারা দেয়নাই। এরা একটা প্রতারক চক্র। ওই গ্রামের আরেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন তাকে ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষিঅফিসের বিভিন্ন দায়িত্ব দেওয়া হবে। এবং ১৬০০০টাকা বেতন দেওয়া হবে। এবং এই চাকরিটা পেতে তাকে ৩০০০০টাকা দিতে হবে প্রথমে ১৫০০০ বাকি ১৫০০০ হাজার চাকরি পাওয়ার পরে।
আমি কগজপত্র জমা দেওয়া সময় তাকে ধার করে ১৫০০০ টাকা দেই। কিন্তু পরে জানতে পারি এটা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একটা কৌশল । এই ধরনের কোন নিয়োগ কৃষিকর্মকর্তা অফিস থেকে দেওয়া হয় নাই। এব্যাপারে আগৈলঝাড়া কৃষিকর্মকর্তা নাসির উদ্দীন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এই ধরনের কোন নিয়োগ কৃষিঅফিস থকে দেওয়া হয়নি ।
যারা এই ধরনের কাজ করেছে তারা আমার অফিসের কেউ না। তারা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রতারক চক্র । তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া উচিৎ । এব্যাপারে অভিযুক্ত গোবিন্দ বাড়ৈর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।