প্রতিনিধি ২৯ এপ্রিল ২০২১ , ১১:২৪:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
আবু সায়েমঃ পটুয়াখালীর বাউফলে মোঃ বজলু শিকদার(৭৫) নামে এক বৃদ্ধাকে পিটিয়ে যখম করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে নিজ পুত্রের বিরুদ্ধে।
বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়ানের মহিশআলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যর্ক্ষদশীদের থেকে জানা যায় ০৫ ছেলেমেয়েকে নিয়ে বৃদ্ধ মোঃ বজলু শিকদারের সংসার, পেশায় তিনি একজন কৃষক। ছেলেমেয়েদের বিয়ের পর থেকেই সব ছেলেমেয়েদের সংসার আলাদা। স্ত্রী ও কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে বৃদ্ধ মোঃ বজলু শিকদার(৭৫) থাকেন আলাদা ঘরে।
ঘটনার দিন ২৯ এপ্রিল ২০২১ তারিখ আনুমানিক সকাল ১০ ঘটিকার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোঃ বজলু শিকদারের সাথে তার মেজ ছেলে মোঃ বাবলু শিকদারের(৩৫) স্ত্রীর সাথে জগড়া হয়।
স্ত্রীর সাথে জগড়া দেখে হঠাৎ ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠেন বজলু শিকদারের মেজ ছেলে মোঃ বাবলু শিকদার, এক পযার্য়ে বাবলু শিকদার তার পিতার শরীরে হাত তুলেন, পাশে থাকা বাশঁ দিয়ে এলোপাতারি ভাবে পিঠাতে থাকেন, বৃদ্ধ মোঃ বজলু শিকদার বাশেঁর আঘাত সয্য করতে না পেরে ছেলের পা ধরে প্রাণ ভিক্ষা চাইতে থাকেন, তাতেও থামেনা বাবলু শিকদার।
এক পর্যায়ে বৃদ্ধ মোঃ বজলু শিকদারের চিৎকার শুনে ছোট ছেলে সাখাওয়াত(১৮) ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন পরে মুমুর্ষ অবস্থায় বৃদ্ধ মোঃ বজলু শিকদারকে ছোট ছেলে সাখাওয়াত ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে দুপুর ১২ ঘটিকার সময় বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন ।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরূরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডাঃ সাইদ প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে মোঃ বজলু শিকদারের মাথায় গুরুতর আঘাত দেখে মুমুর্ষ অবস্থায় উন্নতর চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে ট্রান্সফার করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ বাবলু শিকদার আজকের তালাশকে বলেন আমি ওনারে(পিতা) বাশঁ দিয়া পিটাই নাই, উনি প্রায়ই আমার আর আমার স্ত্রীর সাথে অহেতুক ঝগড়া করেন, আইজ সকালে আমাগো মুরগির খোপ কোপাইতেছিলো এইজন্য আমি বাধাঁ দিতে গেছি তহন ধাক্কা-ধাক্কি হয় এক পযার্য়ে পাশে পরে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। উনি আমারে মারার জন্য দাও নিয়া আসছেন,আমার মাথায় আঘাতও করছেন আমিই চিকিৎসা নেওয়ার জন্য এখন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছি।
পরিবারের পক্ষ থেকে বৃদ্ধ মোঃ বজলু শিকদারের ছোট ছেলে সাখাওয়াত(১৮) বলেন বাবাকে উন্নতর চিকিৎসার জন্য বরিশাল নিয়ে যাচ্ছি, মামলার প্রস্তুতি চলছে।