প্রতিনিধি ১৯ অক্টোবর ২০২২ , ১১:২৭:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক:- ধান–নদী–খাল এই তিনে বরিশাল। নদী বেষ্টি বরিশাল বিভাগে রূপালী ইলিশ খুবই সুস্বাধু। তাই প্রতি বছর মাইলিশের প্রজনন মৌশুমে সরকারি ভাবে মা ইলিশ আহরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। সরাকারিভাবে ঘোশিত এই ২২দিনে সারদেশে ইলিশ আহরন, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরন, ক্রয়–বিক্রয়, বিনিময় দন্ডনিয় অপরাধ। এইআইন কেউ অমান্য করলে তাকে ১ বছর থেকে ২ বছর কারাদন্ড বা ৫ হাজার জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিতকরার আইন বলবৎ রয়েছে।
কিন্তু এই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মা ইলিশ আহরন, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরন, ক্রয়–বিক্রয়, বিনিময় চলছে। অভিযানে অংশগ্রহন করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনির কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কিছু অসাধু মৎস্যকর্মকর্তার বিরুদ্ধে জব্দ কৃত মাছ–জাল বিক্রি করা, জেলে ও নৌকা অর্থের বিনিময়ে ছেরে দেয়ারও অভিযোগরয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায় প্রতিটি ইউনিয়নে মাছ আহরন করে দিনের আলোতে তা বিক্রয় করা হচ্ছে। যার মধ্যেবাগরজা, কালিগন্জ, বাবনার চর, লালখারাবাগ, চরমোনাই, সায়েস্তাবাদ, লাহার হাট, জাঙ্গাইল্লা, চরবাড়ীয়াউল্লেখযোগ্য। সরেজমিনে এসব এলাকা ঘুরে দেখা যায় ঝাটকা ইলিশ ৩০০ টাকা, ৪০০/৫০০ গ্রামের ইলিশ৫০০/৬০০ টাকা, ৮০০ থেকে ১ কেজি বা তার উপরে ইলিশ বিক্রয় করা হয় ৭৫০/৮০০ টাকা । সাহেবের হাটবাজারে স্বাভাবিক সময়ের মতো সাজিতে ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে।
অপরদিকে উল্লেখযোগ্য এসব ইউনিয়নের সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা এই নিষেধাজ্ঞার সময়ইলিশ মাছ কিনেন যারা কোষ্ট গার্ড, নৌ পুলিশ বা অন্য অভিজানিক দলের ট্রলার/ স্প্রিডবোর্ড চালায় বা সহযোগিহিসেবে কাজ করে তাদের কাছ থেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু কোস্টগার্ডের মাঝি জানান আটক কৃতবেশিরভাগ মাছ ও জাল তারা বিক্রি করে। আর এই বিক্রির অধিকাংশ টাকা দেয়া হয় অভিজানিক দলের সকলসদস্যদের।
তারা আরও জানান, অনেক কর্মকর্তা টাকার জন্য নদীতে নামে । চরের ভিতরে ধাওয়া করে জেলেদের আটকেওখানেই যা পায় সেই টাকা নিয়ে এসে উর্দ্বতন কর্মকর্তাকে বলে ধরতে পারিনি। এমন অভিযোগের কথা শুনতেশুনতে আমাদের কানে ভেসে আসে আরেকটি অভিযোগ। এ অভিযোগ পোর্ট রোডের কিছু মৎস ব্যাবসায়িসহবিসিসির অধিকাংশ বাজারে কিছু ব্যবসায়িদের নামে । যারা প্রতিদিন মনকে মন ইলিশ মাছ চরবাড়ীয়া, সায়েস্তাবাদ, চরমোনাই, লাহার হাট থেকে কিনে মোটরসাইকেল যোগে নিয়ে মাছ মজুদ করছে। আর নিষেধাজ্ঞাশেষে সেগুলো চরা দামে বিক্রি করা হবে।
কিছু ঘটনা পর্যবেক্ষন করতে করতে চরবাড়িয়ায় দেখা মেলে এই নিষেধাজ্ঞায় ৭০০ টাকা কেজিতে ইলিশ মাছকিনতে কাউনিয়া থানার ২ পুলিশ কর্মকর্তাকে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশকে উন্নতির চূড়ায় নিতেচাইলেও তাতে বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছে কিছু মৌসুমি জেলে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনির কিছু অসাধু কর্মকর্তা–কর্মচারীরা ।
এবিষয়ে বরিশালের সাধারন মানুষের এখন সময়ের দাবি সৎ ও যোগ্য কর্মকর্তাদের দিয়ে অভিযান পরিচালনা করাএবং প্রশাসনের কঠোর নজরদারী অব্যাহত রাখা এতে যেমন প্রচুর ইলিশ সম্পদে ভরে উঠবে বরিশালের নদ–নদীতেমনী পুরন হবে ইলিশের চাহিদাও।
মৎস অভিযান নিয়ে নৌ পুলিশ বরিশাল অঞ্চলের পুলিশ সুপার কাফিল উদ্দিন জানিয়েছেন, মা ইলিশ রক্ষায়কাজ করছে নৌ পুলিশ। অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যাবস্থা নেবো। নিষেধাজ্ঞার সময়ে সার্বক্ষনিক আমরা মনিটরিংকরছি, আইন অমান্য করে যারা নদীতে মাছ ধরছেন তাদের আটক করা হচ্ছে পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল–জরিমানা করা হচ্ছে।