অপরাধ

কুয়াকাটায় মৎস্য সংরক্ষণে অনীহা!

  প্রতিনিধি ৮ জুলাই ২০২৩ , ২:০২:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

শামীম ওসমান হীরাঃ- 
মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে সাগরে চলছে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে অবাধে চলছে মাছ শিকার। এসব মাছ বিক্রি হচ্ছে মহিপুর মৎস্য বন্দর সহ বিভিন্ন উপজেলার মাছ বাজারে।
বিশেষ করে রাত নয়টার পর প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মহিপুর বিএফডিসি মার্কেট এবং বিভিন্ন আড়তে চলে মাছ প্যাকিং। চলে ডাকের মাধ্যমে বিক্রি। আবার মাছ কম ধরা পড়লে ট্রলারে বসেও হয় বিক্রি। পরে পরিবহন ও ট্রাকে পাচার করা হয় ঢাকা সহ বিভিন্ন অঞ্চলে। মনে হয় যেন দেখার কেউ নেই। এতে বেস্তে যাচ্ছে মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ। এ বিষয়ে নিজামপুর কোষ্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার মতিউর রহমান সাথে মুঠো
ফোনে কথা বললে, তিনি জানান আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু মৎস্য কর্মকর্তা আমাদেরকে বলছেন ৬৫ দিন অবরোধ চলাকালীন সময় পরিবহন করা যাবে।

কিন্তু আমরা অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ ধরলেও মৎস্য কর্মকর্তা আমাদের উপর চাপ প্রয়োগ করেন, যে পরিবহনের মাছ ধরা অবৈধ। এবং আমরা টহল দিলেও মৎস্য কর্মকর্তাদের সাথে পাই না। তারা বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে কেটে পড়েন।

এবং আমরা যদি কোথাও অভিযান চালিয়ে মাছ ধরি মৎস্য কর্মকর্তা কে জানালে তিনি আসেন না। তাই আমরা বিভিন্ন অভিযান চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। তিনি আরো জানান আমরা স্থলভাগে অভিযান চালালে,
তারা আমাদের সাথে থাকে না। কেননা আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাছ ঘরের ভিতরে ঢুকিয়ে ফেলে জেলেরা। তখন মৎস্য কর্মকর্তা না থাকলে বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট না থাকলে অভিযান করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসতে হয়। আর আপনি জেনে থাকবেন যে দক্ষিণ অঞ্চলে কোস্টগার্ড ব্যতীত নৌ পুলিশ ফারি রয়েছে কুয়াকাটা থাকা সত্বেও তারা কখনো টহল দিতে নামে না। তাই অবাদেই আইন ভঙ্গ করে মাছ ধরতে সাহস পাচ্ছে জেলেরা।

এ বিষয়ে মহিপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সভাপতি কে ফোন দিলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মহিপুর মৎস্য বন্দরের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা বিভিন্ন সাংবাদিক এবং প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই , মাছ কেনা বেচা করি। তাই বিভিন্ন সময় অভিযান চললেও আমাদের মাছ ছেড়ে দেয়, প্রশাসন। আমাদের বিষয়ে পেপার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে না কেউ, কেননা আমরা বিভিন্ন প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে ম্যানেজ করেছি ।

এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে, তিনি জানান আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত যে কেউ আমাদেরকে তথ্য দিলেই আমরা যে কোন মুহূর্তে ব্যবস্থা নিব। এবং আমাদের পর্যাপ্ত জনবল রয়েছে। তিনি আরো বলেন মহিপুর মৎস্য বন্দরে রাতে মাছ ক্রায় ও বিক্রয় হয়, সেটা আমি জানি না আপনার মুখ থেকে সবে মাত্র শুনলাম আমি অতি দ্রুত সময়ে মধ্যেই, আইনি ব্যবস্থা নেব।

আরও খবর

Sponsered content