Uncategorized

মহিপুরে আইনকে পুঁজি করে সাধারন মানুষকে ফাঁসানোর অভিযোগ !

  প্রতিনিধি ১৫ এপ্রিল ২০২১ , ৩:৪৪:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

শামীম ওসমান হীরা:- ‌সরকারের প্রচালিত আইন সাধারন মানুষের রক্ষাকবচ। সেই আইনকেই পুঁজিকরে সমাজের কিছু মানুষ করছে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি। কেউ কেউ আইনের অপপ্রয়োগ করে নিরাপরাধ সাধারন মানুষকে ফাঁসিয়ে করছে অর্থ আদায়ের পায়তারা। মহিপুর থানার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে চলছে আইন অপপ্রয়োগ। এমনি আইনের অপপ্রয়োগ করে নিরাপরাধ মানুষকে ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া যায় ৯ নং ওয়ার্ডে শুখডুগী বাঁধঘাট এলাকায়। জানাযায়, গত ১৩ ই এপ্রিল (মঙ্গলবার) আনুমানিক রাত ২ টা ৩০ মিনিটের দিকে রহস্যজনক ভাবে মোঃ সাদেক মুসুল্লির ঘরে প্রবেশ করে তার যুবতী কন্যাকে (২৪) ধর্ষনের চেষ্টা ও ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লুটের অভিযোগ করেন একই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সিদ্দক মৃধার (৬০) ও মোঃ আয়ুব আলী (৫০) এর বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে, ঘটনা আলামত ও প্রতিবেশীদের স্বাক্ষী এই অভিযোগকে রহস্যজনক করে তোলে। অভিযোগের অন্যতম স্বাক্ষী প্রতিবেশী মোঃ রহিম বলেন, রাত আনুমানিক ২ টার দিকে প্রতিবেশি মোঃ সাদেক মুসুল্লির ঘর থেকে আকস্মিক চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বাহিরে বের হয়ে তাদের ঘরে উপস্থিত হয়। সেখানে গিয়ে তিনি তার যুবতী কন্যার কাছে এই অভিযোগ জানতে পারেন, কিন্তু তিনি প্রতক্ষ্য ভাবে কারো উপস্থিতি ও আলামত দেখতে পায়নি বলে গনমাধ্যমে জানান। উক্ত গ্রামের বাসিন্দা আঃ করিম (৬৮) জানান, সিদ্দিক মৃধার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ কখনো শুনিনি, আর এখানে সাদেক ও তার মেয়েরা ছাড়া আর কেউ তাকে দেখেনি। এই অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন। একই স্থানের বাসিন্দা মোঃ মোসারেফ (৪২) বলেন, গত বছর এই যুবতীর সাথে সিদ্দক মৃধার চাচাত ভাই মোঃ মৃত ফেরদৌস (২৮) এর প্রেমপরিনয় বিবাহ হয়। যেটা মৃত ফেরদৌস এর পরিবার অমতে ছিলেন। যার প্রেক্ষিতে মৃত মোঃ ফেরদৌস নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। কিন্তু বিবাহের ২৭ দিন পর, গত ২৫ শে মে রাত অনুমান ১:০০ ঘটিকার সময় ফেরদাউস পানি নিতে বাসার বাহিরে আসলে দুর্বিত্তরা তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। তখন ফেরদৌসের ডাক চিৎকারে পাশের রুমের অনেক প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে দুর্বিত্তরা পালিয়ে যায়। কিন্তু মৃত ফেরদৌসের পরিবারের দাবী ঐ ডাক চিৎকারের সময় তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী মোসাঃ সাদিয়া আক্তার (২৪) সে রুমের ভিতরে ছিলো এবং তার স্বামী খুন হওয়ার পরও তাকে ঐ স্থানে দেখা যায় নি। তাই তাদের সন্দেহ ছিলো উক্ত হত্যা কান্ডে তার স্ত্রী’র সংযুক্ত আছেন এবং তাকে আসামী করার জন্য এই মোঃ সিদ্দিক মৃধা অনেক চেষ্টা করছেন, বিধায় সেই পুরোনো শত্রুতার কারনে এই মিথ্যা অভিযোগ করেন।
৯ নং ওয়ার্ড ইউ,পি সদস্য, মোঃ রুহুলামিন বলেন, ইতিপূর্বে মোঃ সিদ্দিক মৃধা এই মেয়েকে একাধিক বার বিভিন্ন মানুষের কাছে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছে বলে তিনি জানেন। কিন্তু সেদিন রাতে কি হয়েছে সে বিষয় পরের দিন সকালে মোঃ সাদেক মুসুল্লি তাকে জানিয়েছন বলে জানান। এবিষয় মঙ্গলবার ১৩ ই এপ্রলি রাতে মহিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন, মোঃ সাদেক মুসুল্লি র যুবতী কন্য (২৪)। অভিযোগ তদন্তে দ্বায়িত্বে থাকা এস,আই সাইদুর রহমান বলেন, উক্ত অভিযোগ তদন্ত স্বপেক্ষে বব্যস্থা গ্রহন করা হবে।
বিশেষ ভাবে উল্লখ্য যে, উক্ত স্থান ৯ নং ওয়ার্ড শুখডুগী বাঁধঘাট ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় রিতিমতো, এভাবেই পর পর বেশ কয়েকটি ঘটনার স্বীকার হয়েছেন নিরাপরাধ কিছু মানুষ। বিবাহ ধর্মঘট,ধর্ষন চেষ্টা,লুট, বাল্যবিবাহ, সহ প্রচালিত আইনের ভয় দেখিয়ে আদায় করা হচ্ছে কোটি টাকা। আর এটা স্থানীয় একটি সেন্টিগ্রেড মহল দারা পরিচালিত হয় বলে জানাযায়। কিন্তু উক্ত বিষয় বর্তমানে গনমাধ্যমের তথ্য সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content